
পার্সটুডের উদ্ধৃতি দিয়ে বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: আজ (শনিবার) ২০ দলীয় জোটের শরিক ন্যাশনাল পিপলস পার্টি-এনপিপির আয়োজিত ইফতার মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন। সংসদে সংরক্ষিত আসনের এক নারী সাংসদের বক্তব্যের প্রতি ইঙ্গিত করে খালেদা জিয়া বলেন, খবরের কাগজে দেখলাম কালকে আওয়ামী লীগের মহিলারা বলেছেন, আমরা নির্বাচন চাই না, আমরা হাসিনাকে ক্ষমতায় চাই। কত আবদার দেখেন, কী রকম অবস্থায় তারা নিয়ে যেতে চায়। আমরা হাসিনাকেও চাই, কিন্তু নির্বাচনের মাধ্যমে হবে, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ যাদের চাইবে তাদের নিয়ে কাজ করতে হবে।
জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে খালেদা জিয়া বলেন, এখন যে অবস্থা তৈরি হয়েছে, এখন সকলের উচিত ঐক্যবদ্ধ হয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করা। এই অবস্থায় কি দেশ চলবে? আমরা শুধু হায়-হুতাশ করব, আমরা কি না খেয়ে মরব?
তিনি বলেন, আজ পুলিশও অত্যাচারিত হচ্ছে, আওয়ামী লীগের লোকজন তাদের ব্যাপকভাবে অত্যাচার করছে। পুলিশ-আনসার-বিজিবিসহ অন্যান্য বাহিনী যারা আছেন, তাদের সবার চিন্তা করা উচিত - এই দেশ কি আমাদের সকলের সামনে শেষ হয়ে যাবে? আর একটা শ্রেণি দেশটাকে এমন জায়গা নিয়ে যাবে নিজেরা ফুলে-ফেঁপে বড় হবে, তাদের (আইনশৃঙ্খলা বাহিনী) ব্যবহার করে তারা দেশ চালাতে থাকবে। আর সাধারণ মানুষ গরিব থেকে গরিব হবে, ধ্বংস হবে।
খালেদা জিয়া বলেন, সব শ্রেণির মানুষকে আজকে এগিয়ে আসতে হবে। জালেম ও লুটেরাদের হাত থেকে দেশটাকে রক্ষা করতে হবে। এখনও যা আছে সেটাও লুটে নেয়ার ব্যবস্থা করছে। তারা মনে করছে, এবারই শেষ সময়; যত পারো লুটে নাও। সেজন্য তারা লুটে ব্যস্ত। লুটেরাদের রুখার জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
খালেদা জিয়া বলেন, সবাই ঐক্যবদ্ধ হোন। আমাদের ২০ দলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে এবং আমরা প্রয়োজনে ঐক্যবদ্ধভাবে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মাধ্যমে আমরা এদেশে একটা অবাধ, সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই। যে নির্বাচন সহায়ক সরকারের অধীনে হবে। ‘হাসিনা মার্কা’ নির্বাচন এদেশে আর চলবে না। এদেশের কোনো মানুষ শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন চায় না।
দেশের বর্তমান অবস্থা তুলে ধরে তিনি বলেন, প্রতিনিয়ত দেশের অবস্থা দিনে দিনে খারাপ হচ্ছে। জিনিসপত্রের দাম বেড়েই চলেছে। গরিব মানুষ দুইবেলা পেট ভরে খেতেও পায় না। এর মধ্যে গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়ছে। চাল-ডাল- তেল-লবন-সবজি সবকিছুর দাম জনগণের ক্রয় ক্ষমতায় বাইরে চলে গেছে। মানুষ একটু শান্তিতে বাঁচার মতো অবস্থাতে নেই।
ইফতার মাহফিলে এনপিপির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, মহাসচিব মুস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক এমাজউদ্দিন আহমেদ, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খানসহ জোট নেতাদের নিয়ে ইফতার করেন বিএনপি চেয়ারপারসন।