
বার্তা সংস্থা ইকনা: আজ (বৃহস্পতিবার) হিন্দি বেসরকারি টিভি চ্যানেল 'আজতক'র ওয়েবসাইটে বিষয়টি নিয়ে খবর প্রচার করা হয়েছে।
চীনের সরকারি সংবাদপত্র গ্লোবাল টাইমসে নিবন্ধকার ইয়ু ইং ভারতে হিন্দু জাতীয়তাবাদের বৃদ্ধিকে চীনের সঙ্গে যুদ্ধের কারণে পরিণত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন।
তিনি বলেছেন, ভারতকে নিজ দেশে বেড়ে চলা এ ধরণের হিন্দু জাতীয়তাবাদের বিষয়ে সচেতন থাকা উচিত এবং একে দু দেশের মধ্যে বিবাদের কারণ হতে দেয়া উচিত নয়।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি
নিবন্ধে বলা হয়েছে, ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে ভারতে হিন্দু জাতীয়তাবাদের ভাবনা বেড়েছে। এ ধরণের অনুভূতি বৃদ্ধি পাওয়ার পর মোদি সরকার কিছুই করতে পারে নি, যার উদাহরণ হলো ২০১৪ সালের পর ভারতে মুসলিমদের বিরুদ্ধে সহিংসতা বেড়েছে। নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় আসার জন্য হিন্দু জাতীয়তাবাদের সুবিধা নিয়েছেন বলেও ওই নিবন্ধে উল্লেখ করা হয়েছে।
সম্প্রতি নিউইয়র্ক টাইমসেও ভারতের সমালোচনা করে ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদির বিপুল বিজয়কে হিন্দু জাতীয়তাবাদী ইমেজেসহ জনতাকে দেয়া সোনালি ভবিষ্যৎ ও মজবুত অর্থনীতির প্রতিশ্রুতির ফল বলে মন্তব্য করা হয়েছে। তবে, মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর ভারতীয় অর্থনীতির গতি কমে গেছে বলে পত্রিকাটি দাবি করেছে।
সংবাদপত্রটির মতে, মোদির আমলে দেশে অসহিষ্ণুতা ছড়িয়ে পড়েছে যা ভারতের মতো সেক্যুলার রাষ্ট্রের জন্য হুমকি। মোদি দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে গরুর গোশত খাওয়ার অভিযোগে বহু সংখ্যক মুসলমানকে হত্যা করা হয়েছে এবং এ ধারা এখনো চলমান।
জবাইয়ের জন্য গবাদিপশু বিক্রির বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় সরকারের বিধিনিষেধ আরোপের সমালোচনা করে একে ভারতের জন্য সাংস্কৃতিক কলঙ্ক বলে অভিহিত করেছে নিউইয়র্ক টাইমস।
পত্রিকাটি এর আগে উত্তর প্রদেশে বিজেপির ফায়ারব্রান্ড নেতা যোগী আদিত্যনাথকে মুখ্যমন্ত্রী করারও তীব্র সমালোচনা করেছিল। পার্সটুডে