শাবিস্তানের উদ্ধৃতি দিয়ে বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তাআলা বলেন: আমি জিন এবং মানুষকে এ জন্যই সৃষ্টি করেছি যে, তারা (শুধু) আমার ইবাদতই করবে।(সূরা জারিয়াত-৫৬)
কোনো উদ্দেশ্য বা কারণ ছাড়াই আল্লাহ্ আমাদের সৃষ্টি করেননি। অর্থহীন কাজকর্মে সময় নষ্ট করার জন্যও তিনি মানুষ সৃষ্টি করেন নি। তিনি মানুষ সৃষ্টি করেছেন পরিপূর্ণ অর্থে ইবাদত বলতে যা বুঝায় তা-ই করার জন্য —সমগ্র সৃষ্টি জগতের একমাত্র সর্বশক্তিমান প্রতিপালক হিসেবে শুধু তাঁরই ইবাদত করার জন্য।
শুধু ধর্মীয়, শারীরিক কিংবা মানসিক ব্যাপারগুলোই যে ইবাদত তা কিন্তু নয়। সালাত, সাওম, যাকাত এবং হাজ্জ এগুলো হচ্ছে ইবাদতের আরকান বা মূল খুঁটি। তবে ইবাদতের প্রকৃত অর্থ আরও ব্যাপক। ইবাদত একটি ব্যাপক অর্থবোধক শব্দ এবং আল্লাহ্ তাআলা যা কিছু পছন্দ করেন এবং যা কিছু তাঁকে সন্তুষ্ট করে তার সবই ইবাদত।
মাওলা আলী(আ.) বলেছেন: তোমরা আত্মাসমূহকে প্রফুল্লতা দাও এবং তার জন্যে প্রজ্ঞাপূর্ণ চমৎকার মজার বিষয় তালাশ করো, কারণ দেহের মতো আত্মা ও বিরক্ত এবং ক্লান্ত হয়ে পড়ে।
হে মানুষ, তোমরা ভয় করো তোমাদের সেই পরওয়ারদিগারকে, যিনি তোমাদের সৃষ্টি করেছেন একটি মাত্র প্রাণী থেকে এবং সৃষ্টি করেছেন তার থেকে জুড়িকে এবং এ দু’জন থেকে ছড়িয়ে দিয়েছেন বহু সংখ্যক পুরুষ ও স্ত্রীলোক।
এখানে মানব সৃষ্টির ইতিহাস ও তত্ত্বকথা খুব সংক্ষেপে বলে দেয়া হয়েছে। দুনিয়ায় মানব জাতি সৃষ্টির উদ্দেশ্যে আল্লাহ তা’আলা প্রথম আদমকে সৃষ্টি করলেন। এর পরই তাঁরই থেকে সৃষ্টি করলেন ‘হাওয়া’কে তাঁরই জুড়ি হিসেবে। পরে তাঁরা দু’জন স্বামী-স্ত্রী হিসেবে জীবন যাপন করতে থাকেন। এ স্বামী-স্ত্রীর যৌন মিলনের ফলেই দুনিয়ায় এ বিপুল সংখ্যক মানুষের অস্তিত্ব ও বিস্তার লাভ সম্ভব হয়েছে।