IQNA

দরবারি আলেমদের বিরুদ্ধে ইমাম সাজ্জাদের কঠিন অবস্থান

21:22 - October 29, 2017
সংবাদ: 2604191
ইমামগণের জীবনের একটি উল্লেখযোগ্য দিক হল তারা সর্বদা দরবারি আলেম সমাজ ও শাসকদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতেন। তাদের কোন অন্যায় আচরণকে ইমামগণ কখনো প্রশ্রয় দেন নি।

বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: ইমাম সাজ্জাদ(আ.) কারবালার মর্মান্তিক ঘটনার পর ঐ কঠিন পরিস্থিতিতেও ইসলাম প্রচারের কাজে কোনরূপ ত্রুটি রাখেন নি। তিন সময় উপযোগী সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করেন এবং মানুষের হেদায়েতের সকল দায়িত্ব সুন্দরভাবে পালন করেন।

অত্যাচারী খলিফারা নিজেদের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য দরবারি আলেমদেরকে ব্যাবহার করত। কেননা দরবারি আলেমদের সহযোগিতা না থাকলে তারা কোনভাবেই মুসলিম সমাজের খলিফার মসনদে টিকতে পারত না।

আর ইমামগণ সর্বদা অত্যাচারী শাসক ও দরবারি আলেমদের আসল চেহারাকে মানুষের সামনে তুলে ধরতেন এবং তাদের বিরুদ্ধে কঠিন পদক্ষেপ নিতেন।

এই দরবারি আলেমদের মধ্যে একজন হচ্ছে কাবুল আহবার। যে শামের লোকদেরকে দেখলে মাবিয়ার কাছে ভাল হওয়ার জন্য শামের লোকদের ফজিলতে জাল হাদিস বর্ণনা করত। আর এধরণের দরবারি আলেমরা যত বেশী জাল হাদিস বর্ণনা করত মাবিয়া তাদেরকে তত বেশী টাকা পয়সা এবং সুযোগ সুবিধা দিত।

আরেকজন দরবারী আলেম হচ্ছে মুহাম্মাদ বিন শাহাবে যাহরি। যাহরি নিজেই বলেন, আমরা প্রথম দিকে এসব জাল হাদিস লিখতে চাচ্ছিলাম না। কিন্তু পরবর্তীতে উমাইয়্যা খলিফাদের চাপে লিখতে শুরু করি তারাও আমাদেরকে বেশ পুরস্কার দিতে থাকেন।

মরোয়ানের মৃত্যুর পর তার বাড়ি থেকে গাধার পিঠে করে দরবারি আলেমদের লেখা বস্তা বস্তা জাল হাদিস বের করা হয়।

ইমাম সাজ্জাদ(আ.) এই সকল দরবারি আলেমদের বিরুদ্ধে কঠোরভাবে রুখে দাঁড়ান এবং মুসলিম সমাজকে তাদের অপকর্ম সম্পর্কে অবগত করেন।

এই কারণে উমাইয়্যা খলিফারা ইমামকে মদিনা থেকে গাধার পিছে শিক দিয়ে বেধে কয়েকবার শামে নেয় আসে এবং ইমামকে নির্যাতন করে। তারপরও সত্য ও হক পথের ইমাম তার দায়িত্ব পালনে সামান্যতম অবহেলা করেন নি। শাবিস্তান
captcha