IQNA

ইমাম হুসাইনের জিয়ারতের মাধ্যমে বালামুসিবত দূর হয় এবং রিজিক বৃদ্ধি পায়

21:01 - November 05, 2017
সংবাদ: 2604252
ইমাম জাফর সাদিক(আ.) বলেছেন, ইমাম হুসাইনের জিয়ারত করলে রিজিক বৃদ্ধি পায়।

বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: চেহলাম পালনের উদ্দেশ্য হলো ইমাম হুসাইনের শিক্ষাকে জাগরুক রাখা। আর যেহেতু ইমাম হুসাইনের বিপ্লবের মধ্যে প্রকৃত ইসলামের শিক্ষা অর্থাৎ ন্যায়পরায়ণ ও সত্যপন্থী নেতাদের শাসন প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন লুকিয়ে রয়েছে সেহেতু আমরা ইমাম হুসাইনকে যত বেশি স্মরণ করব ততবেশি ইসলামকে চিনতে পারব ও তা প্রতিষ্ঠার জন্য উদ্বুদ্ধ হব। এ কারণেই আমরা দেখি কুরআনে বার বার বিভিন্ন নবীর জীবনী ও তাদের কর্ম সম্পর্কে মানুষকে অবহিত করার জন্য রাসূল (সা.)কে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

'জিয়ারতে ওয়ারিস' নামে প্রসিদ্ধ জিয়ারতে ইমাম হুসাইনকে সকল নবীর ওয়ারিস বলা হয়েছে। সুতরাং তাঁর চেহলাম পালন ও তাঁর স্মরণের মধ্যে যেন সকল নবীর স্মরণ নিহিত রয়েছে। ইসলাম টিকে থাকার অর্থ সব নবীর মর্যাদা রক্ষা। ইমাম হোসাইন তাঁর আন্দোলনের মাধ্যমে সব নবীর মর্যাদাকে রক্ষা করেছেন। আপনারা পুরাতন ও নতুন পুস্তকে নবীদের যে রকম মন্দভাবে চিত্রায়িত করা হয়েছে তা লক্ষ্য করুন। রাসূল (সা.), হজরত মূসা (আ.), হজরত দাউদ (আ.) ও অন্যান্য নবী সম্পর্কে আমরা বিভিন্ন হাদিস গ্রন্থে এমন কিছু অবমাননাকর বর্ণনা দেখতে পাই যেগুলো ইহুদীরা ইসলামের মধ্যে ঢুকিয়ে দিয়েছে। বনি উমা্ইয়ার শাসনামলে তাদের পৃষ্ঠপোষকতায় এ বিকৃতি ঘটেছে। কারণ তারা চেয়েছে নবীদের মর্যাদাকে ক্ষুণ্ণ করে নিজেদের পর্যায়ে নামিয়ে এনে রাসূল (সা.) এর স্থলাভিষিক্ত খলিফা হিসাবে নিজেদের বৈধতাকে প্রমাণ করতে। ইমাম হোসাইন তাদের এ অপচেষ্টাকে প্রতিহত করেছেন। যদি ইমাম হোসাইন তাদের বিরুদ্ধে রুখে না দাঁড়াতেন তবে ইসলামও আজ ইহুদী ও খ্রিস্টবাদের পরিণতি বরণ করতো। তাই প্রকৃতপক্ষে বলা যায় ইমাম হোসাইন কারবালায় ইসলামকে রক্ষার মাধ্যমে সব নবীর মর্যাদাকে রক্ষা করেছেন। এটিই তাঁর চেহলাম পালনের বিশেষত্ব।

আরবাইন উপলক্ষে মুসলমানদের করণীয় নির্ণয় করতে আমাদের ইমাম হোসাইনের আন্দোলনের উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানতে হবে। জিয়ারতে আরবাইনে এ উদ্দেশ্য এভাবে বর্ণিত হয়েছে : হে আল্লাহ ইমাম হোসাইন তাঁর জীবনকে উৎসর্গ করেছেন যাতে করে আপনার বান্দাদেরকে অজ্ঞতা এবং পথভ্রষ্টটা ও বিপথগামীটার কিংকর্তব্যবিমূঢ়তা থেকে মুক্তি দিতে পারেন। শাবিস্তান
captcha