বার্তা সংস্থা ইকনা: সিরিয়ায় পিকেকে যোদ্ধাদের দ্বারা আক্রান্ত হয়ে তুরস্কে আশ্রয় নিয়েছে ৫১ বছর বয়সী নারী নেদা আহমার। সিরিয়ায় নিজের বাড়িতে পিকেকে যোদ্ধাদের রকেট হামলার ঘটনা এভাবেই বর্ণনা দেন নেদা আহমার। খবর আনাদলু এজেন্সির।
নেতা বলেন, আমি সিরিয়ার বাড়িঘর সব হারিয়েছি। আমি সিরিয়া ছেড়েছি। এখন থাকছি তুরস্কে। তুরস্কে আমি ভালো আছি। এখানে আমাকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। প্রতিবেশীরাও আমাকে অনেক ভালোবাসতে শুরু করেছেন। আমি আর তুরস্ক ছাড়ব না।
পাঁচ বছর আগে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ চলাকালে পিকেকে যোদ্ধাদের আক্রমণের শিকার হয় নেদার পরিবার। ওই সময়ে তারা সিরিয়া ছেড়ে শরণার্থী হয় তুরস্কে। এর আগে নেদা কখনো তার গ্রাম ছাড়েনি বলে জানান।
এর আগে সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর আফরিনে তুরস্কের চলমান অভিযান নিয়ে আঙ্কারা ও ওয়াশিংটনের মধ্যেকার সম্পর্কে নতুন করে টানাপোড়েন শুরু হয়।
উত্তর সিরিয়াতে ‘উত্তেজনা হ্রাস’ করতে এবং সামরিক কর্মকাণ্ড সীমিত করার জন্য তুরস্কের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। অন্যদিকে, কুর্দি ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ ওয়াইপিজেকে যারাই সহায়তা করবে, তারাই তুরস্কের ‘টার্গেটে’ পরিণত হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দেশটির উপ-প্রধানমন্ত্রী বেকির বোজদাগ।
সিরিয়ার পার্বত্য অঞ্চল আফরিনে ‘কুর্দি পিপলস সুরক্ষার ইউনিট’ বা পিওয়াইডি/ পিকেকে’র বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান পরিচালনা করছে তুরস্ক। অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্র কুর্দিদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে এবং আঙ্কারার ঘনিষ্ঠ ন্যাটো মিত্র।
বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসের এক বিবৃতিতে বলা হয়, আফরিনে তুর্কি অভিযান নিয়ে বুধবার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এরদোগানের সঙ্গে কথা বলেন এবং আফরিনে ক্রমবর্ধমান সহিংসতা আফগানিস্তানে আমাদের লক্ষ্যবস্তুকে ঝুঁকির মুখে ফেলতে পারে।
এতে বলা আরো বলা হয়, বেসামরিক নাগরিকদের হতাহত এড়ানো এবং বাস্তুচ্যুত মানুষ ও শরণার্থীদের সংখ্যা না বাড়ানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্র তুরস্কের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে।
একই সঙ্গে তুর্কি ও আমেরিকান শক্তির মধ্যে সংঘর্ষের ঝুঁকি এড়িয়ে চলার জন্যও বলা হয়।
তুরস্কের সরকার আমেরিকার প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছে, ‘সিরিয়ার কুর্দি গেরিলা পিপল’স প্রোটেকশন ইউনিট বা ওয়াইপিজি’র প্রতি সমর্থন বন্ধ করুন তা না হলে সিরিয়ার মাটিতে তুর্কি সেনাদের সঙ্গে সংঘাতের জন্য প্রস্তুত হোন।’ আরটিএনএন