IQNA

সমাজে নারীদের পুরুষসুলভ উপস্থিতি মা ফাতিমার আদর্শের পরিপন্থী

20:27 - February 05, 2018
সংবাদ: 2604972
হযরত ফাতেমা জোহরা ছিলেন আমাদের প্রিয় নবীজি (সাঃ) এর কলিজার টুকরা ও নয়নের মনি। তাঁর নাম শোনেননি এমন মানুষ পৃথিবীতে খুব কমই আছে। তিনি গোটা মুসলিম উম্মাহর অহংকার।

 সমাজে নারীদের পুরুষসুলভ উপস্থিতি মা ফাতিমার আদর্শের পরিপন্থী

বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: বুখারী শরীফ ও মুসলিম শরীফে উল্লেখ আছে প্রিয়নবী (সা.) বলেন কলিজার টুকরা নয়নের মনি হযরত ফাতেমা। তাকে যে জন রাগান্বিত করল মনে রাখবে সে যেন আমাকে ক্রোধান্বিত করল এবং সম্পর্কের অবনতি ঘটাল।

হযরত ফাতেমা (সা.আ.) এর চারিত্রিক গুণাবলী সম্পর্কে জানতে গেলে দেখা যায় যে, প্রিয় নবী (সা.) এর চরিত্রের প্রতিটি গুণই তার জীবনে প্রতিফলিত হয়েছে। তিনি ছিলেন সত্যের পূজারী, আমানতদারী, লাজুক, নম্র ও সরলমনা। হযরত ফাতেমা শিশুকাল থেকেই শান্ত সরলমনা ছিলেন, তিনি কখনও কারো সাথে ঝগড়া-বিবাদ করতেন না বরং অন্য ছেলে মেয়েরা ঝগড়া করলে তার মীমাংসা করে দিতেন। সবার সাথে সুন্দর ব্যবহার করতেন তার সুন্দর ব্যবহারে মুগ্ধ হয়ে নবী (সা.) এর প্রধান শত্রুরাও তার প্রশংসা করতে ভুলতেন না। শৈশব থেকেই হযরত ফাতেমা ছিলেন নির্ভীক, তেজস্বিনী ও বক্তা।

তিনি উচিত কথা বলতে কাউকে ছাড়তেন না, সকল বাধা বিপত্তি পেরিয়ে সর্বদা সত্য ও উচিত কথা বলতেন। তিনি সর্বদা তার পিতা হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর আদর্শ অনুসরণ করতেন এবং মা বিবি খাজিদা (সা.আ.) এর আদেশ ও উপদেশাবলি মনযোগ   দিয়ে শুনতেন এবং বাস্তব জীবনে তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করতেন। প্রকৃতপক্ষে পিতা মাতার শিক্ষাই হল জীবনের শ্রেষ্ঠ শিক্ষা।

হযরত ফাতেমা (সা.আ.) এর আদর্শ শিক্ষা এর জীবন চলার পথ নির্দেশিকা একমাত্র আদর্শ পিতা মাতার নিকট থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে পিতা মাতার আদেশ নিষেধ উপদেশ তিনি তার জীবনে শ্রেষ্ঠ আদর্শ রূপে গ্রহণ করেছিলেন। প্রিয় নবী (সা.) এর প্রতিটি গুণের সমাহার ঘটেছিল ফাতেমা (সা.আ.) এর মানসপটে। হযরত ফাতেমা (সা.আ.) তাঁর পিতা মাতাকে ভীষণ ভালোবাতেন।

মা ফাতিমা প্রয়োজনে সামাজিক কাজে উপস্থিত হয়েছেন কিন্তু সেটা সম্পূর্ণ ইসলামী হিজাব ও আদবের সাথে। তার মধ্যে কোন পুরুষ সুলভ আচরণ কখনোই পরিলক্ষিত হয় নি। তিনি মসজিদে খোতবা দিয়েছেন, মুহাজির ও আনসারদের বাড়িতে গেছেন তিনি যুদ্ধের ময়দানেও গেছেন কিন্তু নারীসুলভ শালীন পোশাক ও পরিবেশের সাথে। শাবিস্তান

captcha