বার্তা সংস্থা ইকনা: এর পূর্বে ‘Pakistan Institute of Medical Sciences’ এক প্রতিবেদনের কারণে দুই বোনের বিবাহ ভেঙ্গে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল। মেডিকেল বোর্ড দাবী করেছিল যে, আলোচিত এই দুই বোনের বয়স ১৮ বছরের নিচে, তবে তাদের এধরনের প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে।
ইসলামাবাদ হাই কোর্টে নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন করার পর, ইসলাম গ্রহণকারী দুই বোনকে নিজের হেফাজতে নেয়ার জন্য হাই কোর্ট ইসলামাবাদের ডেপুটি কমিশনার হামজা শাফাকাত কে নির্দেশ দিয়েছে।
হাই কোর্টের বিচারক বলেন, ‘এমনকিএই দুই বোনকে যদি একটি আশ্রয় কেন্দ্রেও রাখা হয় এরপরেও ফেডারেল সরকার অবশ্যই তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।’
একই সাথে ইসলামাবাদের প্রধান বিচারক ইসলাম গ্রহণকারী দুবোনের নিরাপত্তার জন্য তাদের সাথে একজন নারী অফিসার নিযুক্ত করেছেন।
আসিয়া ও নাদিয়ার করা নিরাপত্তা আবেদনের শুনানি শেষে উচ্চ আদালত তাদের দুজনকে নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে রাখার আদেশ দান করেন।
অধিকন্তু আসিয়া ও নাদিয়ার প্রস্তাবিত স্বামী বারাকাত এবং সাফাকাত আদালতে আগাম জামিনের আবেদন করেছেন। তারা জামিনের আবেদনে জানিয়েছেন যে, আসিয়া এবং নাদিয়ার পিতার করা অপহরণের মামলায় তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হতে পারে।
আসিয়া এবং নাদিয়াকে বারাকাত ও সাফাকাত অপহরণ করেছেন এবং জোর পূর্বক ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করেছেন এমন খবর গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তারা এমন প্রতিবেদন সমূহ প্রত্যাখ্যান করে আদালতে একটি পিটিশন দায়ের করেছিলেন।
তবে আসিয়া এবং নাদিয়া এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন যে, তারা দুই বোন দীর্ঘ দিন যাবত ইসলামের শিক্ষা দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিলেন এবং তারা কোনো কারো চাপ কিংবা হুমকির মুখে নয় বরং সম্পূর্ণ নিজেদের ইচ্ছায় ইসলাম গ্রহণ করেছেন। পাকিস্তানটুডে ডট কম।