পোপ ফ্রান্সিস’সহ বিশ্বের সব ধর্মের বিশিষ্ট ধর্মগুরুদের কাছে পাঠানো এক বার্তায় তিনি আরো বলেছেন, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস বিশ্ব মানবতাকে যখন একটি কঠিন চ্যালেঞ্জ ও পরীক্ষার মুখোমুখি করেছে তখন মহান আল্লাহর কাছে আবেদন করছি তাঁর অনুগ্রহে আপনারা সম্পূর্ণ সুস্থ্য এবং নিরাপদ থাকুন এবং মানব সমাজের মধ্যে আশা ও ধর্মীয় বিশ্বাস ছড়িয়ে দেয়ার ক্ষেত্রে সর্বশক্তিমান আল্লাহর উপর নির্ভর করুন। পার্সটুডে
এই বৈশ্বিক মহামারীটি আবার আমাদের দেখিয়েছে, বৈজ্ঞানিক চরম অগ্রগতি সত্ত্বেও মানুষ কতটা অসহায়। নতুন এ উপলব্ধি থেকে মানুষের এখন উচিত ঘৃণা, শত্রুতা এবং যুদ্ধ ছেড়ে দিয়ে তার পরিবর্তে প্রেম এবং বন্ধুত্ব প্রদর্শন করা। করোনাভাইরাস আমাদের দেখিয়েছে যে, জাতীয় সুরক্ষার মতো ধারণাগুলি বিবর্ণ হয়ে গেছে। লন্ডন এবং রোমের নিরাপত্তার সাথে বাগদাদ, দামেস্ক এবং সানার নিরাপত্তা অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। একইভাবে নিউইয়র্ক, স্টকহোম এবং টোকিওর জনগণের সুস্বাস্থ্য ও কল্যাণের সাথে দিল্লি, বেইজিং এবং তেহরানের মানুষের সুস্বাস্থ্য ও কল্যাণের নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে।
আবুজার ইব্রাহিমি তুর্কামনের বার্তার আরেকটি অংশে এসেছে, এক সময় ইরানি কবি শেখ সাদি বলেছিলেন যে, মানব সম্প্রদায়ের এক সদস্য যখন বিপদে পড়ে, তখন মানব সম্প্রদায়ের সকল সদস্যের শান্তি বিনষ্ট হয়ে যায়। সম্ভবত এই সুন্দর কবিতায় শেখ সাদি মানবসমাজের আদর্শিক সংহতি কামনা করেছিলেন। আজ আমাদের কাছে এই সংহতি বাস্তবে পরিণত হয়েছে এবং বিশ্বব্যাপী আক্রান্ত এই মহামারী আমাদেরকে দেখিয়ে দিয়েছে যে মানবতার পরিণতি একে অপরের সাথে কতটা ওতপ্রোতভাবে জড়িত। কিন্তু এই বেদনাদায়ক পরিস্থিতিতে যখন বিশ্বের সমস্ত মানুষ এই অভূতপূর্ব সংকট মোকাবেলায় একত্রিত হয়েছে, ইরানী জনগণ তখন অতিরিক্ত জটিলতার মুখোমুখি হচ্ছে। কারণ দীর্ঘদিন ধরে আমেরিকার একতরফা অবরোধের কারণে ইরানি জনগণ খাবারের অধিকার এবং চিকিৎসা সরঞ্জাম ও প্রয়োজনীয় ওষুধ পাওয়ার অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
এ অবস্থায় করোনোভাইরাসে আক্রান্ত প্রতিটি ইরানি রোগীর সুচিকিৎসা পাওয়ার অধিকারকে বিবেচনা করে এই রোগীদের মানবাধিকার রক্ষার জন্য এই অমানবিক, অবৈধ ও নিষ্ঠুর অবরোধের নিন্দা জানানোর জন্য বার্তায় বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ধর্মগুরুদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। সেইসঙ্গে এই অবরোধ অপসারণের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করারও আহ্বান জানানো হয়। iqna