তিনি ইমাম রেজা (আ.) এবং হযরত সাবিকা (সা. আ.)এর সন্তান। ইমাম জাওয়াদ (আ.) বাবুল হাওয়ায়েজ (হজাত বা চাহিদা পূর্ণ হওয়ার দরজা), ত্বাকী (পরহেযগার বা সংযমী) এবং জাওয়াদ (দয়ালু বা উদার) নামে অধিক পরিচিত।
মহান আল্লাহর পক্ষ থেক ইমামত প্রাপ্তের ১৭ বছর পর তিনি মাত্র ২৫ বছর বয়সে শাহাদাত বরণ করেন।
এই মহান ইমামকে ইরাকের রাজধানী বাগদাদের অদূরে কাজেমাইন শহরে তাঁর দাদার রওজা শরিফের পাশে দাফন করা হয়।
ইমাম জাওয়াদ তাকি (আ.)'র জীবনের শেষ দু'বছরে আব্বাসীয় শাসক ছিলো মুতাসিম। মুতাসিম জনগণের মাঝে ইমামের জনপ্রিয়তায় উৎকণ্ঠিত হয়ে পড়ে। বিশেষ করে ইমামের বক্তব্যে জনগণের মাঝে এক ধরনের জাগরণ সৃষ্টি হয়। যার ফলে মুতাসিমের ভেতর ঈর্ষার আগুণ জ্বলতে থাকে। তাই সে ইমামের বিরুদ্ধে শুরু করে নানা ষড়যন্ত্র। এই ষড়যন্ত্রের ফলেই মাত্র ২৫ বছর বয়সে ইমাম জাওয়াদ (আ.) শাহাদাত বরণ করেন। তাঁর শাহাদাত-বার্ষিকীতে আবারো সবার প্রতি রইলো আন্তরিক সমবেদনা।