হযরত আব্বাস (আ.)এর মাযারের সচিবলায় ঘোষণা করেছে: এই বছর করোনার প্রকোপের কারণে কোন অনুষ্ঠান ছাড়াই হযরত আব্বাস (আ.) - এর মাজারের গম্বুজের পতাকা প্রতিস্থাপন অর্থাৎ ১৪৪৩ হিজরির মহররমের প্রথম রাতে লাল পতাকা পরিবর্তন করে কালো পতাকা প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।
ইমাম হুসাইন (আ.)এর মাযারের তথ্য বিভাগের প্রধান আকিল আল-শরীফী এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন: এ বছর ইমাম হুসাইন (আ.)এর মাযারের কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোন অনুষ্ঠান ছাড়াই এই মাজারের পতাকার পরিবর্তন করা হবে। আর এই সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে মহররম মাসের প্রথম রাতে শোকের মাসের আলামত হিসেবে কালো পতাকা প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।
গতবছরের মতো এ বছরেও সকল প্রকার স্বাস্থ্যবিধি মেনে জিয়ারতকারীদের উপস্থিত হওয়ার ব্যাপারে আকিল আল-শরীফী বলেন: এ বছর পতাকা পরিবর্তনের জন্য সাধারণ জনগণ এবং বিশেষ ব্যক্তিবর্গেকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। পতাকা পরিবর্তনের অনুষ্ঠানটি সরাসরি বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রচার করা হয়েছে।
প্রতি বছর মহররম মাসের প্রথম রাতে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ইমাম হুসাইন (আ.) এবং হযরত আব্বাস (আ.)-এর পবিত্র মাজারের গম্বুজের লাল পতাকা পরিবর্তন করে শোকের আলামত হিসেবে কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়। আর এরমাধ্যমে শোকের মাস শুরু হয়। তবে করোনাভাইরাসের প্রর্দুভাবের কারণে পরপর দু’বছর ইমাম হুসাইন (আ.) এবং হযরত আব্বাস (আ.)এর মাযারের পতাকা কোন অনুষ্ঠান ছাড়াই কিছু সংখ্যক খাদেমের উপস্থিতিতে পরিবর্তন করা হয়েছে।
এছাড়াও বাইনুল হরামাইনেরও কালো কাপড় ও পতাকা দিয়ে শোকের ছায়ায় সজ্জিত করা হয়েছে।
বাইনুল হারামাইনের প্রধান নাফেয় আল মুসাভি বলেন: ইমাম হুসাইন (আ.) ৫৮ বছর বয়সে শাহাদাত বরণ করেন। এজন্য বাইনুল হারামাইনে মোট ৫৮টি পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে। এছাড়াও এই স্থানে ৪৫টি শিলালিপি স্থাপন করা হয়েছ। iqna