IQNA

আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ফার্সী ভাষার ধর্মীয় সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক গুরুত্ব ও সম্ভাবনা বৃদ্ধি পেয়েছে

0:03 - December 22, 2021
সংবাদ: 3471172
তেহরান (ইকনা): ফার্সী ভাষা এক সময় ইউরেশিয়ার লিঙ্গুয়া ফ্রাংকায় পরিণত হয়েছিল। সাইবেরিয়া থেকে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া লন্ডন থেকে বেইজিং এই বিস্তৃত ভূখন্ডের লিঙ্গুয়া ফ্রাংকা ছিল ফার্সী ভাষা যা এ ভাষা ও সংস্কৃতির শক্তি ও ক্ষমতার পরিচায়ক। এতদ সংক্রান্ত আলোচনা করা হয়েছে এ বইটিতে।

আর ফার্সী ভাষার এ শক্তি ও ক্ষমতা খ্রিষ্টীয় ত্রয়োদশ শতাব্দী থেকে  বিংশ শতাব্দী পর্যন্ত ইউরেশিয়ার অনেক অঞ্চল ও এলাকায় বিদ্যমান ছিল এমনকি বিংশ শতকের শুরুতে ইউরোপের কোনো কোনো অঞ্চল যেমন : আলবেনিয়া , বলকান , ককেশাস , মধ্য এশিয়া , তুরস্ক , দক্ষিণ রাশিয়ার দার্বান্দ - আস্ট্রাখান , তাতারিস্তান , ক্রিমিয়া , বাশকিরিয়া সাইবেরিয়া ও চীনা তুর্কিস্তানেও সাংস্কৃতিক ও শিক্ষাঙ্গনে। ভারতের কাশ্মীর রাজ্যেও ১৯১৯ সাল পর্যন্ত ফার্সী ভাষা হিন্দু ডোগরা শাহীর দরবারী ভাষা ছিল।

 

ব্রিটিশ রাজ পঞ্চম জর্জের ভারত সম্রাট ( শাহে হিন্দ্ ) হিসাবে তাজগুযরীর ( রাজমুকুট পরিধান বা করোনেশন coronation ) অনুষ্ঠানে ( ১৯১১ সালে ) দিল্লীতে নব নির্মিত দরবার হল ও প্রাসাদের অভ্যন্তরীন দেওয়াল ও ছাদের কারুকাজ, ডিজাইন  ও ডেকোরেশন দৃষ্টিনন্দন ফার্সী নাসখী ক্যালিওগ্রাফি দিয়ে সুসজ্জিত করা হয়েছিল অর্থাৎ  ভারত সম্রাটের দরবার কক্ষের ডেকোরেশন ফার্সী লিপি ও ক্যালিওগ্রাফি ব্যতীত যেন সম্পূর্ণ বেমানান ।

তাই ইরানে ইসলামী বিপ্লবের পর আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আবারো ফার্সী ভাষার ধর্মীয় সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক গুরুত্ব ও সম্ভাবনা বৃদ্ধি পেয়েছে যা বিশ্বের পরাশক্তি সমূহ বিশেষ করে ইংঙ্গো-মার্কিন (অ্যাংলোফোনিক ) পরাশক্তিকে শংকায় ফেলেছে এবং তাদের মাথা ব্যাথার ও কারণ হয়েছে।

ইসলামী চিন্তাবিদ এবং গবেষক হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলেমিন মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান

৩০ - ৯ - ১৪০০

(২১ - ১২ - ২০২১)

captcha