আঞ্চলিক উপস্থিতি ও পরমাণু ক্ষেত্রে কোনো ছাড় নয়: ইরানের সর্বোচ্চ নেতা

তেহরান (ইকনা): ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী বলেছেন, আঞ্চলিক উপস্থিতি ও শান্তিপূর্ণ পরমাণু কর্মসূচির ক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। কারণ এটা জাতীয় শক্তির ওপর আঘাত।

তিনি আজ (বৃহস্পতিবার) ইরানের বিশেষজ্ঞ পরিষদের সদস্যদের সঙ্গে এক বৈঠকে এ কথা বলেন।  পার্সটুডে

 

সর্বোচ্চ নেতা বলেন, আঞ্চলিক উপস্থিতি এবং পারমাণবিক ক্ষেত্রে বৈজ্ঞানিক উন্নয়ন ও অগ্রগতির পথ থেকে সরে আসার মতো প্রস্তাবগুলো আমাদের জাতীয় শক্তির জন্য আঘাত। আঞ্চলিক উপস্থিতি আমাদেরকে কৌশলগত দৃঢ়তা দেয় এবং পারমাণবিক বৈজ্ঞানিক অগ্রগতি অদূর ভবিষ্যতের চাহিদা পূরণের সাথে সম্পর্কিত। 

 

তিনি আরও বলেন, জাতীয় শক্তি যেকোনো দেশের জন্য অত্যাবশ্যক এবং যদি কোনো জাতি স্বাধীনতা, মাহাত্ম্য ও দৃঢ়তা অর্জন করতে চায় তাহলে তাকে শক্তিশালী হতে হবে, অন্যথায় দুর্বলতা, অপমান ও ভয়ের কারণে সব সময় বিদেশিদের লোভ-লালসার বিষয়ে উদ্বিগ্ন থাকতে হবে।

 

সর্বোচ্চ নেতা বলেন, জাতীয় শক্তির স্তম্ভগুলো একটির সঙ্গে আরেকটি জড়িত। এগুলো হচ্ছে, বিজ্ঞান-প্রযুক্তি, নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা শক্তি, জনকল্যাণ, সংস্কৃতি-জীবনরীতি, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে জাতীয় স্বার্থ নিশ্চিত করতে রাজনীতি ও দর কষাকষির শক্তি এবং অন্য জাতিগুলোকে আকৃষ্ট করার মতো যুক্তি ও অবস্থান ইত্যাদি।

 

আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী আরও বলেন, নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকতে আমেরিকা বা অন্য কোনো শক্তির কাছে মাথা নত করা বড় ভুল এবং রাজনৈতিক শক্তির ওপর আঘাত। শত্রুকে সংবেদনশীল না করার অজুহাত দেখিয়ে প্রতিরক্ষা শক্তি কমানোর প্রস্তাবের চেয়ে সরল ও আনাড়ি প্রস্তাব আর হতে পারে না।

 

তিনি বলেন, কিছু লোক দুর্বল ও ত্রুটিপূর্ণ প্রস্তাব উত্থাপনের মাধ্যমে দেশের জাতীয় শক্তির কিছু স্তম্ভ মুছে ফেলতে চেয়েছিল। যদি এই অনুমতি দেওয়া হতো তাহলে ইরান আজ বড় বিপদের মুখে পড়তো। আল্লাহর ইচ্ছায় এসব প্রস্তাব বাস্তবায়ন হয়নি। iqna