
দুই বছরের বিরতির পর মঙ্গলবার ইমাম হুসাইন (আ.) ও হযরত আব্বাস (আ.)-এর পবিত্র মাজারে ঈদুল ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
কারবালার বাইনুল হারামাইনে আধ্যাত্মিক পরিবেশে এবং সর্বশক্তিমান আল্লাহ, মহানবী (সা.) ও আহলে বাইত (সা.)-এর ভালোবাসায় পূর্ণ হৃদয়ে এই ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
দুই ভাই অর্থাৎ ইমাম হুসাইন (আ.) ও হযরত আব্বাস (আ.)-এর পবিত্র মাজারের মধ্যবর্তী স্থান “বাইনুল হারামাইন” নামে প্রসিদ্ধ। এই পবিত্র স্থানে হাজার হাজার মুসল্লির উপস্থিতিতে ঈদের নামাজের ইমামতি করেন সাইয়্যেদ মূর্তজা কাজভিনী।
ইরাকে ৬ জন ইমাম এবং ইমামদের অনেক সন্তানদের মাযার রয়েছে। এই বিষয়ের উপর ইঙ্গিত দিয়ে তিনি বলেন: মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে এটা আমাদের জন্য অনেক বড় নেয়ামত এবং এই নেয়ামতের জন্য আমাদের শুকরিয়া আদায় করা ফরজ।
তিনি ইরাকি সেনাবাহিনী ও নিরাপত্তা বাহিনীর জন্য দোয়া করে ঈদুল ফিতরের নামাজের খুতবা শেষ করেন এবং ইরাকের স্বাধীনতা ও নেয়ামত প্রদানের জন্য সর্বশক্তিমান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেন।
কয়েক দিন ধরে জিয়ারতকারী এবং ঈদের নামাজ আদায়কারীদের অধিক সেবা প্রদানের জন্য ইমাম হুসাইন (আ.) ও হযরত আব্বাস (আ.)-এর পবিত্র মাজারের খাদেমগণ প্রস্তুতি গ্রহণ করেছেন।
উল্লেখ্য যে, করোনা ভাইরাস বিস্তারের কারণে গত দুই বছর ধরে কারবালার বাইনুল হারামাইনে ঈদুল ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়নি। iqna