
নাক দিয়ে পানি টেনে নেওয়া (استنشاق) এবং মুখে পানি নিয়ে কুলি করা (مضمضه) উভয়ই ওজুর পূর্বে সুন্নত হিসেবে পালন করা হয়। ইমাম জাফর সাদিক (আ.) বলেছেন: "নাক দিয়ে পানি টেনে নেওয়া এবং মুখে পানি নিয়ে কুলি করা ওজুর মূল অংশ নয়, কারণ এই দুটি কাজ দেহের অভ্যন্তরীণ অংশের সাথে সম্পর্কিত (নাক ও মুখ), যেখানে ওজুর অঙ্গসমূহ দেহের বাহ্যিক অংশ।"
যদিও আল্লাহ আমাদের কষ্ট থেকে রক্ষা করতে এই কাজগুলোকে বাধ্যতামূলক করেননি, তবুও প্রতিটি সুন্নত আমলের মধ্যে শারীরিক স্বাস্থ্যের জন্য বিস্ময়কর উপকারিতা রয়েছে।
ইসলামী বর্ণনামতে, নাকে পানি টেনে নেওয়া (استنشاق) এবং মুখে পানি নিয়ে কুলি করা (مضمضه) সুন্নত এবং এটি মুখ ও নাক পরিষ্কার রাখে। ইমাম আলী (আ.) বলেছেন: "মুখে পানি নিয়ে কুলি করা এবং নাকে পানি টেনে নেওয়া সুন্নত এবং এটি মুখ ও নাক পরিষ্কার রাখে।"
নাক হলো ফুসফুসে বাতাস প্রবেশের পথ। বাতাস ফুসফুসে প্রবেশের আগে নাকের লোম ও মিউকাসের মাধ্যমে গরম ও পরিশোধিত হয়, যা ধূলিকণা ও দূষণ অপসারণ করে। ইসলামে এই বায়ু ফিল্টারকে পরিষ্কার রাখার জন্য ওজুর আগে নাকে পানি টেনে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যা ওজুর আদবের অংশ।
রাসূলুল্লাহ (সা.) ওজুর সময় নাকে পানি টেনে নিতেন এবং মুসলমানদের এই সুন্নত আমল পালনের পরামর্শ দিতেন। নাকে পানি টেনে নেওয়া বলতে কুসুম গরম পানি নাক দিয়ে টেনে মুখ দিয়ে বের করে দেওয়াকে বোঝায়। এটি নাকের গহ্বর খুলে দেয়, শ্বাস-প্রশ্বাস সহজ করে এবং মাথা হালকা অনুভূত হয়; এছাড়াও সর্দি, হাঁপানি ইত্যাদি শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার প্রতিরোধে সহায়তা করে।
লবণ পানির উপকারিতা: কুসুম গরম ফুটানো পানির সাথে সামান্য লবণ মিশিয়ে নাকে টেনে নেওয়া নিম্নলিখিত সমস্যাগুলির সমাধানে সহায়ক:
সাইনাসের প্রদাহ
নাক দিয়ে পানি পড়া
গলার পেছনে শ্লেষ্মা জমা
সর্দি
শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা
ইসলামী_সংস্কৃতি_জীবনধারা_তিব্ব
লেখক: হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন আম্মার সাবিল