IQNA

খবর: গাযা পরিস্থিতি সহ্যসীমার বাইরে চলে গেছে:কায়া ক্যালাস

13:19 - May 29, 2025
সংবাদ: 3477457
ইকনা- যখন নিহত শহীদ গাযাবাসীদের সংখ্যা ১০০০০ ,২০০০০,৩০০০০,৪০০০০,৫০০০০ হয়েছিল ও উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছিল তখন ইউরোপীয়দের কাছে সেগুলো সহ্যসীমার মধ্যে ছিল!!!! এই হলো ইউরোপীয়দের প্রকৃত মানবতাবাদী মানবদরদী চেহারা!!!এখন গাযায় ইসরাইলের গণহত্যা যজ্ঞে নিহতদের সংখ্যা ৫০০০০ ছাড়িয়ে এমনকি ৬০০০০ অতিক্রম করাটা ইউরোপীয়দের সহ্যসীমার বাইরে গেছে!!

খবর: গাযা পরিস্থিতি সহ্যসীমার বাইরে চলে গেছে:কায়া ক্যালাস
এ খবর নিয়ে কিছু কথা:
যখন নিহত শহীদ গাযাবাসীদের সংখ্যা ১০০০০ ,২০০০০,৩০০০০,৪০০০০,৫০০০০ হয়েছিল ও উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছিল তখন ইউরোপীয়দের কাছে সেগুলো সহ্যসীমার মধ্যে ছিল!!!! এই হলো ইউরোপীয়দের প্রকৃত মানবতাবাদী মানবদরদী চেহারা!!!এখন গাযায় ইসরাইলের গণহত্যা যজ্ঞে নিহতদের সংখ্যা ৫০০০০ ছাড়িয়ে এমনকি ৬০০০০ অতিক্রম করাটা ইউরোপীয়দের সহ্যসীমার বাইরে গেছে!!
এখন থেকে আমাদের বুঝতে হবে যে ইউরোপীয়দের লজিক অর্থাৎ যুক্তি,হিসাব, বিচার,বিবেক ও বিবেচনায় দুধরনের গণহত্যা আছে;এক ধরনের গণহত্যা তাদের ( ইউরোপীয়দের) কাছে সহ্যসীমার মধ্যে আরেক ধরনের গণহত্যা তাদের সহ্যসীমার বাইরে। যে গণহত্যা তাদের সহ্যসীমার মধ্যে সেই গণহত্যা ইউরোপীয়দের দৃষ্টিতে জায়েয (বৈধ);আর যেটা সহ্যসীমার বাইরে সেটা নাজায়েজ (অবৈধ) গণহত্যা। ইউরোপীয়দের দৃষ্টিতে ইসরাইল কর্তৃক ৬০০০০ পর্যন্ত গাযাবাসীদের গণহত্যা ছিল সহ্যসীমার মধ্যে অর্থাৎ জায়েয (বৈধ) গণহত্যা। ব্যস এতটুকু পর্যন্ত ইসরাইল যদি গাজাবাসীদের মেরে হত্যা করে থাকে তাহলে সেটা হবে ইউরোপীয়দের সহ্যসীমার মধ্যে অর্থাৎ জায়েয বৈধ গণহত্যা এবং সেজন্য ইসরাইলের সাতখুন মাফ।আর এতে করে ইসরাইলকে যুদ্ধাপরাধী মানবতাবিরোধী ইত্যাদি বলা যাবে না বরং ইসরাইল নিজের প্রতিরক্ষা বিধান করতে গিয়েই নিরূপায় হয়ে এই হত্যাকাণ্ড,হত্যাযজ্ঞ ও গণহত্যা করতে বাধ্য হয়েছে!!! লক্ষ্যনীয় যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র ও নিরাপত্তা নীতিনির্ধারক কায়া ক্যালাস গাযায় ইসরাইলের গণহত্যার কথা মুখে উচ্চারণ পর্যন্ত করে নি বরং চরম ধূর্ততার সাথে বলেছে যে গাযা পরিস্থিতি সহ্যসীমার বাইরে চলে গেছে।এখন তাকে প্রশ্ন করা উচিত:
 গাযা পরিস্থিতি কি একদম প্রথম থেকেই তোদের ইউরোপীয়দের কাছে সহ্যসীমার বাইরে চলে যায় নি?!কেন?
যারা মানুষ এবং যাদের মনুষ্যত্ব বোধ ও ন্যূনতম বিবেক বুদ্ধি আছে তাদের কাছে গাযা পরিস্থিতি একদম শুরু থেকেই সহ্যসীমার বাইরেই চলে গেছে এবং তাঁরা তখন থেকেই এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার। আর এখন তোরা (রক্ত চোষা ভ্যাম্পায়ার ড্রাকুলা অর্থাৎ শয়তানের সন্তান সদৃশ্য ইউরোপীয়রা) বলছিস যে গাযা পরিস্থিতি সহ্যসীমার বাইরে চলে গেছে। তোদের অর্থাৎ ইউরোপীয়দের চামড়া এতটাই মোটা এমনকি গণ্ডারের চামড়ার চাইতেও বা তোদের বোধশক্তি ও অনুভূতি এতটাই কম ও ভোঁতা যে এতদিন (প্রায় ২০ মাস) পর তোরা ইউরোপীয়রা বুঝতে পারছিস যে গাযা পরিস্থিতি ( না গণহত্যা) তোদের সহ্যসীমার বাইরে চলে গেছে!!
তোরা ইউরোপীয়রা কি জানিস যে ইসলামের যুক্তি ও দৃষ্টিতে একজন মানুষকে অন্যায় ভাবে হত্যা করা মানে সমগ্র মানব জাতিকেই হত্যা করা ?!
তোরাই তো অস্ত্রশস্ত্র ও রসদপত্র সরবরাহ করে ইসরাইলের গণহত্যা ও যুদ্ধাপরাধ করার ক্ষমতা ও শক্তির ইন্ধন যুগিয়ে আসছিস ও টিকিয়ে রেখেছিস একদম শুরু থেকে এ পর্যন্ত। এ ছাড়াও ইসরাইলের তামাম অপরাধ ও গণহত্যার রাজনৈতিক,কূটনৈতিক ও নৈতিক সমর্থন দিয়ে আসছিস তোরা ইউরোপীয়রা একদম প্রথম থেকেই। গাযযাবাসীদেরকে গণহত্যা ও ইসরাইলের যাবতীয় অপকর্ম,দুষ্কর্ম ও অপরাধে তোরা ইউরোপীয়রাও প্রথম থেকেই শরীক এবং তোরাও ইসরাইলের মতোই একসমান অপরাধী।
তোদের ভালো মানুষী মূর্তি ও চেহারা আসলেই ভেঙে গিয়ে তোদের প্রকৃত রক্তচোষা ও রক্তপিপাসু ড্রাকুলা চরিত্র ও ভয়ানক বীভৎস খবীস চেহারাই বিশ্ববাসীর কাছে স্পষ্ট উন্মোচিত হয়ে গেছে। তোরা ইউরোপীয়রা পবিত্র কুরআনের ভাষায় চতুষ্পদ জন্তু-জানোয়ারের চাইতেও অসভ্য,অধম,ইতর,হীন-নীচ, পথভ্রষ্ট,গুমরাহ ও বিচ্যুত। তোরা নরাধম। তোদের মানুষ বলাই অনুচিত এবং যারা তোদের অর্থাৎ ইউরোপীয়দেরকে মানুষ বলে ও  গুণ গায় তারাও তোদের মতোই খবীস,বেজন্মা,অজন্মা,কুজন্মা ও অমানুষ।
ইসলামী চিন্তাবিদ এবং গবেষক হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলেমিন মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান

captcha