এটি যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ এবং লেবাননে এই শাসনব্যবস্থার ধারাবাহিক আগ্রাসনের অংশ। এখনো এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।
গাজায় ইসরায়েলি সেনা আহত
ইসরায়েলি গণমাধ্যম জানিয়েছে, গাজার উত্তরে আরেকজন দখলদার সেনা আহত হয়েছে। আহত সেনাদের হেলিকপ্টারের মাধ্যমে দখলকৃত ভূখণ্ডে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
রেডিও আর্মি জানিয়েছে, আজ সকালে ৪০১ ব্রিগেডের একজন সেনা গাজার শেখ রিদওয়ান এলাকায় ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ বাহিনীর স্নাইপারের গুলিতে আহত হয়। তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং পরিবারের সদস্যদের খবর দেওয়া হয়েছে।
নেটানিয়াহুর স্বীকারোক্তি: ইসরায়েল আন্তর্জাতিকভাবে একঘরে
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেটানিয়াহু সাম্প্রতিক বক্তব্যে ইসরায়েলকে একটি “সুপার স্পার্টা”তে রূপান্তরের ডাক দিয়েছেন যাতে আন্তর্জাতিক চাপের মোকাবিলা করা যায়। তিনি বলেন, ইসরায়েলকে সামরিক ও অর্থনৈতিকভাবে স্বনির্ভর হতে হবে।
তিনি ইউরোপে মুসলমানদের অভিবাসন এবং ডিজিটাল বিপ্লবকে ইসরায়েলের জন্য হুমকি হিসেবে উল্লেখ করেন।
নিউইয়র্কার সাময়িকীর বিশ্লেষণ অনুযায়ী, তার এই বক্তব্য দেশ-বিদেশে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে।
তেলআবিব স্টক এক্সচেঞ্জে পতন ঘটে। বিরোধী নেতা ইয়াইর লাপিদ বক্তব্যকে “পাগলামি” আখ্যা দেন। ব্যবসায়ী সংগঠন সতর্ক করে যে এসব নীতি ইসরায়েলকে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক অন্ধকারে ঠেলে দেবে। অক্টোবর ২০২৩-এ গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে অনেক দেশ জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছে এবং ইসরায়েলের প্রতি অস্ত্র বিক্রয়ে সীমাবদ্ধতা আরোপ করেছে।
সিনাই নিয়ে নেটানিয়াহুর অনুরোধ
মার্কিন সংবাদমাধ্যম Axios জানিয়েছে, নেটানিয়াহু সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অনুরোধ করেছিলেন যাতে মিশরের ওপর চাপ সৃষ্টি করে সিনাই উপদ্বীপে তাদের সামরিক উপস্থিতি কমানো হয়।
ইসরায়েলি কর্মকর্তারা দাবি করেন, মিশর ওই অঞ্চলে সামরিক অবকাঠামো তৈরি করছে যা ১৯৭৯ সালের শান্তিচুক্তির পরিপন্থী। তবে কায়রো এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
হামাসের প্রতিক্রিয়া: গাজায় ভয়াবহ যুদ্ধাপরাধ
হামাস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, দখলদার সেনারা গাজায় বোমায় ভর্তি গাড়ি পাঠিয়ে আবাসিক এলাকায় বিস্ফোরণ ঘটাচ্ছে। এক সপ্তাহে প্রায় ১২০টি গাড়ি বিস্ফোরিত হয়েছে, যেখানে প্রায় ৮৪০ টন বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছে।
হামাস বলেছে, এটি একটি পূর্ণমাত্রার জাতিগত নিধন অভিযান এবং অভূতপূর্ব যুদ্ধাপরাধ।
মানবাধিকার সংস্থাগুলো জানিয়েছে, প্রতিটি বিস্ফোরণের প্রভাব ভূমিকম্পের মতো (প্রায় ৩.৭ রিখটার মাত্রা) এবং কয়েক কিলোমিটার দূরের ভবনও কেঁপে ওঠে।
হামাস আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, আরব ও ইসলামী দেশগুলো এবং জাতিসংঘকে অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে যাতে এসব নৃশংসতা বন্ধ হয় এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মুখোমুখি করা হয়।
বিশ্বব্যাপী নিন্দা সত্ত্বেও, দখলদার বাহিনী গাজায় হত্যাযজ্ঞ অব্যাহত রেখেছে। হামাস ও মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, আন্তর্জাতিক নীরবতা এবং কিছু শক্তিধর দেশের সহযোগিতা ইসরায়েলকে আরও সাহসী করে তুলেছে। 4306066#