IQNA

দুই বছরের গণহত্যার পর গাজায় শুরু হচ্ছে শিশুদের টিকাদান অভিযান

13:26 - November 06, 2025
সংবাদ: 3478386
ইকনা- দুই বছর ধরে চলা ইসরায়েলি গণহত্যা ও গাজার স্বাস্থ্যব্যবস্থার প্রায় সম্পূর্ণ ধ্বংসের পর অবশেষে শিশুদের টিকাদান কর্মসূচি পুনরায় শুরু হতে যাচ্ছে। আগামী রবিবার থেকে শুরু হচ্ছে নতুন এই টিকাদান ক্যাম্পেইন, যার মূল লক্ষ্য তিন বছরের নিচের শিশুদের প্রাথমিক টিকার ঘাটতি পূরণ ও সার্বিক রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা (ইমিউনিটি) পুনরুদ্ধার করা।
প্যালেস্টাইন ইনফরমেশন সেন্টার জানায়, জাতিসংঘের প্যালেস্টাইন শরণার্থীদের সহায়তা সংস্থা (UNRWA) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এই টিকাদান অভিযান ১০ দিনব্যাপী তিন ধাপে সম্পন্ন হবে, প্রতিটি ধাপের মধ্যে এক মাস করে বিরতি থাকবে।
বিবৃতিতে বলা হয়, টিকা প্রদান করা হবে ১৫০টি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে, যা পরিচালিত হচ্ছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, অনরওয়া, ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট ও অন্যান্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থার মাধ্যমে।
অনরওয়া জানায়, শিশুদের টিকাদান রোগ ও মহামারির বিরুদ্ধে প্রথম ও শেষ প্রতিরক্ষা-প্রাচীর। যারা এখনো প্রাথমিক টিকা পায়নি, তাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য এই কর্মসূচি জাতীয় টিকাদান কর্মসূচি শক্তিশালী করার অংশ।
যুদ্ধের প্রথম দিকেও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অনরওয়া নিজেদের সীমিত মজুত থেকে কিছু টিকা সরবরাহ করেছিল। কিন্তু ইসরায়েলি অবরোধ ও চিকিৎসা সহায়তা প্রবেশে বাধা দেওয়ার ফলে সেই প্রক্রিয়া থেমে যায়।
গত দুই বছরে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় শুধুমাত্র দুটি জরুরি টিকাদান কর্মসূচি চালাতে পেরেছিল — প্রথমটি ২০২৪ সালের ১ সেপ্টেম্বর এবং দ্বিতীয়টি ২০২৫ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি, আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সহযোগিতায়।
মন্ত্রণালয় নাগরিকদের আহ্বান জানিয়েছে, তারা যেন এই অভিযানে অংশগ্রহণ করে এবং শিশুদের টিকা সম্পূর্ণ করতে নিয়ে আসে। তাদের মতে, শিশুদের রোগ থেকে রক্ষা পাওয়ার একমাত্র উপায় সময়সাপেক্ষ ও পূর্ণ টিকাদান।
যদিও গত ১০ অক্টোবর যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হয়েছে, তবু স্বাস্থ্যসহ জীবনের বহু গুরুত্বপূর্ণ খাতে সংকট রয়ে গেছে। পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতি, ওষুধ ও অবকাঠামোর অভাবে গাজার স্বাভাবিক স্বাস্থ্যব্যবস্থা পুনরুদ্ধার ধীরগতিতে চলছে।
গাজার সরকারি মিডিয়া অফিসের পরিচালক ইসমাইল আল-সাওয়াবতা তুরস্কের আনাদোলু সংস্থাকে বলেন, ইসরায়েল এখনও যুদ্ধবিরতির শর্ত লঙ্ঘন করছে এবং চিকিৎসা সরঞ্জাম ও ওষুধ প্রবেশে বাধা দিচ্ছে।
অন্যদিকে, গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক মুনির আল-বারশ টেলিগ্রাম বার্তায় জানিয়েছেন, দখলদার বাহিনী এখনো জরুরি ও অস্ত্রোপচারের ওষুধের প্রবেশে বাধা দিচ্ছে। কেবলমাত্র প্রাথমিক চিকিৎসার কিছু ওষুধই সীমিতভাবে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ইসরায়েল পুষ্টিহীনতায় ভোগা শিশুদের চিকিৎসায় প্রয়োজনীয় ওষুধ ও বিশেষ পুষ্টি দ্রবণ প্রবেশে বাধা দিচ্ছে। 4315054#
 
captcha