IQNA

কিভাবে শবে কদর অনুধাবন করা সম্ভব?

15:59 - June 20, 2017
সংবাদ: 2603296
প্রকৃত রোজা ও নামাযকে অনুধাবনের জন্য ইসলাম ধর্মে আমাদেরকে বিশেষ দিকনির্দেশনা দেয়া হয়েছে। যেমন: সঠিক নিয়ম মেনে রোজা রাখার মাধ্যমে আমরা প্রকৃত রোজাদার হওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করতে পারি। অনুরূপভাবে মাসুম ইমামগণকে (আ.) বিশেষ করে হযরত ফাতেমা যাহরা (আ.) ও ইমাম মাহদীকে (আ.) ওসিলা দিয়ে দোয়া ও প্রার্থনার মাধ্যমে আমরা আল্লাহ তায়ালা নৈকট্য ও সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারি।

শাবিস্তানের উদ্ধৃতি দিয়ে বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: পবিত্র শবে কদর ইসলামে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি রাতের নাম। পবিত্র কুরআনে যে রাতকে হাজার মাসের চেয়েও উত্তম হিসেবে ঘোষণা দেয়া হয়েছে। তাই এ মাসটি প্রত্যেক ধর্মপ্রাণ মুসলমানের জন্য অত্যন্ত গুরুত্ব ও তাৎপর্যপূর্ণ। এ পবিত্র রাতটি যথাযথভাবে অনুধাবনের জন্য অনেক সাধক রমজান মাসের আগে থেকেও অর্থাৎ রজব ও শাবান মাস থেকেই প্রস্তুতি শুরু করে দেন।

মাহে রমজান বছরের সবচেয়ে পবিত্রতম মাস। আর এ মাসের শেষ দশ দিনের মধ্যে কোন একদিনের রজনী হচ্ছে শবে কদরের রাত। এ মহান পবিত্র রাতটি অনুধাবনের কয়েকটি উপায় হচ্ছে-

যদি সঠিকভাবে রোজা পালন ও সিয়াম সাধনা করা সম্ভব হয়; তাহলে শবে কদর অনুধাবন সহজতর হতে পারে।

অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ান গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত হিসেবে গণ্য; তাই এ মাসে যদি অসহায় ও নি:স্বদের সাহায্যে বেশি বেশি পদক্ষেপ নেয়া হয়। তাহলে নিশ্চয়ই আল্লাহর নেক দৃষ্টি হাসিল করা সম্ভব।

মাসুম ইমামগণ (আ.) বর্ণিত দোয়া ও মুনাজাতের (যেমন: দোয়া-এ-কুমাইল, দোয়া-এ-তাওয়াসসুল, দোয়া-এ-আবু হামজা সুমালী প্রভৃতি) মাধ্যমে আল্লাহ বিশেষ নৈকট্য হাসিল করা সম্ভব। আর যখন মানুষ এমন নৈকট্যের মাধ্যমে শবে কদর অনুধাবনেরও সৌভাগ্য হাসিল করতে পারে।

মাসুম ইমামগণকে (আ.) বিশেষ করে হযরত ফাতেমা যাহরা (আ.) ও ইমাম মাহদীকে (আ.) ওসিলা দিয়ে দোয়া ও প্রার্থনার মাধ্যমেও শবে কদরকে অনুধাবন করা সম্ভব।
captcha