বার্তা সংস্থা ইকনা: এসবের মধ্যে মুসলমান নারীদের ওপর হামলা, গালাগালি করা, মুসলিম এবং ইসলাম বিরোধী নোংরা ও দেয়ালে উগ্র স্লোগান লেখাসহ নানা তৎপরতা রয়েছে।
ফ্রান্সের ন্যাশনাল অবজারভেটরি অব ইসলামোফোবিয়ার প্রধান আবদুল্লাহ জাকেরি শুক্রবার বলেন, গত ১৩ নভেম্বরের পর এক সপ্তাহে মুসলমানদের বিরুদ্ধে ৩২টি হামলার ঘটনা লিপিবদ্ধ করেছে তার সংস্থা। অতীতে এ পরিমাণ মুসলমান-বিরোধী ঘটনা সাধারণত চার থেকে পাঁচ সপ্তাহে ঘটত।
একই সময়ে এ ধরনের ২৯টি ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে আরেকটি সংস্থা, কালেকটিভ এগেইনিস্ট ইসলামফোবিয়া ইন ফ্রান্স বা সিসিআইএফ।
ভবিষ্যতেও মুসলমানদের বিরুদ্ধে এ ধরনের হামলা আরো হবে বলে আশংকা করেন জাকেরি। দায়েশ সন্ত্রাসীদের প্যারিস হামলাকে মুসলমান-বিরোধী তৎপরতার অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করছে ফ্রান্সের উগ্র জাতীয়তাবাদী গোষ্ঠীগুলো। এর ভিত্তিতে মুসলমানদের ওপর হামলার ঘটনা বাড়ার আশংকা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতির পুরো সুযোগ নেবে তারা।
এদিকে, সিসিআইএফ’র মুখপাত্র ইয়াসের লায়াতি বলেন, মুসলমানদের বিরুদ্ধে হামলার খবরে সয়লাব হয়ে যাচ্ছে তাদের দফতর। একই সঙ্গে সন্তানদের স্কুলে পাঠানো নিরাপদ কিনা সে বিষয়েও পরামর্শ চাইছেন উদ্বিগ্ন মা-বাবা এবং অভিভাবকরা।
ইউরোপের মধ্যে ফ্রান্সেই সবচেয়ে বেশি মুসলমান বসবাস করে। দেশটিতে ৫০ লাখ মুসলমানের বসবাস রয়েছে যা দেশটির মোট জনসংখ্যার প্রায় ৮ শতাংশ।
3454905