 
                          
অভিধানে"রমজান"-এর একটি অর্থ হল পুড়িয়ে ফেলা। ধোঁয়া ও ছাই বিহীন পুড়িয়ে ফেলা। এই মাসটিকে রমজান বলার কারণ হল, কারোর জানার এবং বোঝার পূর্বেই মানুষের গুনাহসমূহ পুড়িয়ে ফেলা হয় এবং ধ্বংস করা হয়।
রমজান হল পবিত্র কুরআন নাযিলের মাস এবং একমাত্র মাস যার নাম কুরআনে উল্লেখ করা হয়েছে। তাফসিরে বুরহানে হযরত মুহাম্মাদ (সা.) হতে বর্ণনা করা হয়েছে: সকল আসমানী গ্রন্থ পবিত্র রমজান মাসে নাযিল হয়েছে।
রমজানে ঈমানদাররা নিদর্শন ও চিহ্ন নিয়ে মহান আল্লাহর মেহমান হয়।
«يا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا كُتِبَ عَلَيْكُمُ الصِّيامُ»
হে বিশ্বাসীগণ! তোমাদের উপর রোজা আবশ্যিক করা হয়েছে। সূরা বাকারা, আয়াত: ১৮৩
পবিত্র রমজান মাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, এই মাসের মিজবান স্বয়ং মহান আল্লাহ। পবিত্র কুরআনের আয়াত, দোয়া, তওবা এবং ইস্তেগফারের মাধ্যমে আপ্যায়ন করা হয়।রেওয়ায়েতে বলা হয়েছে: রমজানের প্রথম দশদিন রহমত, দ্বিতীয় দশদিন মাগফিরাত এবং তৃতীয় দশদিন জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি প্রাপ্তির দিন।
এ ব্যাপারে হযরত মুহাম্মাদ (সা.) বলেছেন:
« هُوَ شَهْرٌ أَوَّلُهُ رَحْمَةٌ وَ أَوْسَطُهُ مَغْفِرَةٌ وَ آخِرُهُ الْإِجَابَةُ وَ الْعِتْقُ مِنَ النَّار».
এই মাসের খাদ্য হল আত্মার খাদ্য, যা আধ্যাত্মিক বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয়, শরীরের খাদ্য নয়। এ মেহমানদারির মাধুর্য হলো কুরআনের আয়াত তিলাওয়াত করা।
ওসায়েলে শিয়া গ্রন্থে রোজার শর্ত হলো মিথ্যা, পাপ, বিতর্ক, হিংসা, পরচর্চা, সত্যের বিরোধিতা, শপথ ও দোষারোপ এবং ক্রোধ, কটাক্ষ ও নিপীড়ন, মানুষকে হয়রানি, অবহেলা, দুর্নীতিবাজদের সাথে মেলামেশা করা, একজনের কথা অন্যের কাছে বলা এবং হারাম খাওয়াসহ ইত্যাদি আচরণ ও খারাপ গুণাবলী থেকে বিরত থাকা।