আল–জাজিরার উদ্ধৃতি দিয়ে ইকনা জানিয়েছে, ইসরায়েলি দখলদার সেনারা আজ মঙ্গলবার (২৫ شهریور) ভোরে গাজার উত্তরাংশে আবাসিক ভবন ধ্বংসের পাশাপাশি বিমান ও স্থল হামলা জোরদার করেছে।
ইবরানি দৈনিক ইসরাইল হায়োম জানিয়েছে, গাজার ওপর হামলা এতটাই তীব্র যে এর বিস্ফোরণের শব্দ তেল আবিব পর্যন্ত শোনা যাচ্ছে।
আল–আকসা টেলিভিশন জানিয়েছে, দখলদার সেনারা বিমান, গোলন্দাজ বাহিনী, হেলিকপ্টার ও ড্রোন ব্যবহার করে গাজা শহরকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছে। একই সময়ে ভারী বিস্ফোরকভর্তি গাড়িও বিস্ফোরিত হয়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিস্ফোরণের শব্দ এতটাই প্রবল ছিল যে তা ১০০ কিলোমিটারেরও বেশি দূরে শোনা গেছে।
গাজা সিভিল ডিফেন্সের মুখপাত্র মাহমুদ বাসেল বলেন, গাজা শহর ভয়াবহ গোলাবর্ষণের মধ্যে রয়েছে এবং শহীদ ও আহতের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে।
তিনি এ হামলাকে একটি “বড় হত্যাযজ্ঞ” হিসেবে বর্ণনা করে বলেন, শাওয়া স্কয়ার সংলগ্ন একটি আবাসিক এলাকায় বিমান হামলার ফলে বহু শহীদ, আহত ও নিখোঁজ ব্যক্তি ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়েছে।
অন্যদিকে, হা’আরেতজ সামরিক সূত্রের বরাতে জানিয়েছে, ইসরায়েলি সেনারা শিগগিরই গাজা শহরে স্থল অভিযান শুরু করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
তবে অ্যাক্সিওস ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের বরাতে জানিয়েছে, এই দখলদার সেনারা ইতোমধ্যেই সোমবার (২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫) গাজা দখলের লক্ষ্যে স্থল অভিযান শুরু করেছে। ওয়েবসাইটটির তথ্যমতে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ও প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং তেল আবিবের জ্যেষ্ঠ মন্ত্রিপরিষদ সদস্যদের বৈঠকের কয়েক ঘণ্টা পরই ইসরায়েলি সেনারা এ অভিযান শুরু করে।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এ অভিযানের লক্ষ্যকে “হামাসকে সম্পূর্ণভাবে নির্মূল করা” বলে ঘোষণা করেছেন। তবে এ সিদ্ধান্ত দেশীয়ভাবে তীব্র বিরোধিতার মুখে পড়েছে।
হামাসের হাতে আটক ইসরায়েলি বন্দিদের পরিবারগুলো নেতানিয়াহুকে তাদের প্রিয়জনদের “বলির পাঠা বানানোর” অভিযোগ এনে এ সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছে। এর আগেও ইসরায়েলের বহু জ্যেষ্ঠ সামরিক ও গোয়েন্দা কর্মকর্তা গাজা দখলের পরিকল্পনার বিরোধিতা করেছিলেন।
গত সপ্তাহে দখলদার সেনারা গাজায় বিমান হামলা বাড়িয়ে দেয় এবং হামাসের সামরিক উদ্দেশ্যে ব্যবহারের অভিযোগে বহু উঁচু ভবন সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দেয়। 4305275#