কুরআন বিষয়ক বার্তা সংস্থা ইকনা’র রিপোর্ট: ফিলিস্তিনির ‘বেইত লাহুম’ বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ফারনু’ নামক সেমিনার কক্ষে ২৮শে অক্টোবরে ‘জেরুজালেম ও প্যালেস্টাইনের হস্তলিখিত কুরআন শরিফ এবং এসকল শিল্পের গবেষণা ও প্রকাশনার গুরুত্ব’ শিরোনামে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সেমিনারে মসজিদুল আকসার হস্তলিখিত গ্রন্থের সমন্বয়ে গঠিত লাইব্রেরীর সচিব জোসেফ উজবেক, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকগণ, বিভিন্ন মিডিয়ার কর্মী এবং ফিলিস্তিনির শিক্ষার্থীগণ উপস্থিত ছিলেন।
এ সেমিনার জোসেফ উজবেক বলেন: হস্তলিখিত প্রাচীন গ্রন্থ সমূহ অতি মূল্যবান গ্রন্থ। এ সকল গ্রন্থ সমূহের ওপর বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পণ্ডিতগণ শ্রম ব্যয় করে গবেষণা চালাচ্ছে।
তিনি হস্তলিখিত কুরআন শরিফের তিনটি (বৈজ্ঞানিক ঐতিহাসিক ও শৈল্পিক) উপকারিতার কথা ব্যক্ত করে বলেন: হিজরি সানের প্রথম পাঁচ শতাব্দীতে যেসকল হস্তলিখিত কুরআন শরীফের পাণ্ডুলিপি রয়েছে, সেগুলো বিশ্বের প্রাচীনতম কুরআন শরীফ হিসেবে গণ হয় এবং শতাধিক কুরআন শরীফ এর অন্তর্গত রয়েছে।
জোসেফ উজবেক আরও বলেন: বিশ্বের প্রাচীনতম কুরআন শরীফ হল্যান্ডের লিডেন বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে এবং এ কুরআন শরীফটি প্রায় ৭০ থেকে ৮০ হিজরির অন্তর্গত।
সর্বশেষে তিনি বলেন: মসজিদুল আকসায় রক্ষিত প্রাচীনতম কুরআন শরিফটি হিজরি সানের তৃতীয় শতাব্দীর অন্তর্গত। মসজিদুল আকসার লাইব্রেরী যা জেরুজালেমের সবচেয়ে বড় ও গুরুত্বপূর্ণ লাইব্রেরী হিসেবে গণ্য। এ লাইব্রেরীর ইসলামিক যাদুঘরে দুই হাজারেরও অধিক হস্তলিখিত গ্রন্থ ও ৬০০ অধিক পবিত্র কুরআন শরিফ রক্ষিত রয়েছে।
1465378