‘Commdiginews’ ওয়েবসাইটের বরাত দিয়ে কুরআন বিষয়ক বার্তা সংস্থা ইকনা’র রিপোর্ট: গবেষণা করে দেখা গিয়েছে, বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.)এর ওফাতের ২০ থেকে ৪০ বছর পর এ কুরআন শরিফটি লেখা হয়েছে।
উক্ত কুরআন শরিফটি কুফি বর্ণমালায় হওয়ার ফলে গবেষকগণ ধারণা করছেন, এটি ইমাম আলী (আ.)এর সময়ে লেখা হয়েছে। কারণ ইমাম আলী (আ.) ৬৫৬ খ্রিস্টাব্দে খলিফা হিসেবে নিযুক্ত হন এবং ইসলামী হুকুমতের কেন্দ্রকে মদিনা থেকে কুফায় স্থানান্তর করেন।
মধ্যযুগীয় ইতিহাস জার্নালের মতে, ৯৫.৪ শতাংশ পরিসংখ্যান অনুযায়ী কুফি বর্ণমালায় লিখিত উক্ত কুরআন শরিফটি ৬৪৯ থেকে ৬৭৫ খ্রিষ্টাব্দের অন্তর্গত। ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখা যায় ইমাম আলী (আ.) লেখাপড়া জানতেন এবং এ সুবাদে গবেষকগণ ধারণা করছেন উক্ত কুরআন শরীফটি স্বয়ং ইমাম আলী (আ.) লিখেছেন।
ইতিহাস দেখলে আরও জানা যায় যে, তৎকালীন ইসলামী নেতাদের মধ্যে আলী (আ.) সর্বপ্রথম সম্পূর্ণ কুরআন হেফজ করেছেন।
জার্মানের গবেষকগণ আরও জানিয়েছেন: উক্ত কুরআন শরিফের পাণ্ডুলিপিটি আকর্ষণীয় চামড়ার ওপর লেখা হয়েছে এবং ১৩৩৯ বছর পরেও এখন ভালোভাবে সংরক্ষিত রয়েছে। কুরআন শরিফের পাণ্ডুলিপিতে কুফি বর্ণমালায় ইসরা সুরার ৩৭নং আয়াত থেকে ইয়াসিন সুরার ৫৭নং আয়াত পর্যন্ত লেখা রয়েছে।
উক্ত কুরআন শরিফটির সন্ধানের আগ পর্যন্ত ইয়েমেনের রাজধানী সানা’য় রক্ষিত কুরআন শরিফটি পৃথিবীর প্রাচীনতম কুরআন শরিফ হিসেবে পরিগণিত হত এবং এ কুরআন শরিফটি ৬৭১ খ্রিস্টাব্দের অন্তর্গত।
গবেষকগণ ধারণা করছে সন্ধানকৃত উক্ত কুরআন শরিফটি ৬৪৯ থেকে ৬৭৫ সালের অন্তর্গত এবং এ কুরআন শরিফটি কত সালে লেখা হয়েছে সেটা সঠিক ভাবে বের করা সম্ভব নয়। অতএব এ দু’টি কুরআন শরিফ পৃথিবীর প্রাচীনতম কুরআন হিসেবে পরিগণিত।
অতি শীঘ্রই উক্ত কুরআন শরিফের পাণ্ডুলিপিটি বেলজিয়ামের ‘এন্টওয়ার্প’ শহরের হেনড্রিক হেরিটেজ লাইব্রেরিতে ‘পবিত্র গ্রন্থ - পবিত্র স্থান’ শিরোনামে এক প্রদর্শনীতে প্রদর্শন করা হবে।
উক্ত কুরআন শরিফের পাণ্ডুলিপির ডিজিটাল কপি এখানে ক্লিক করে পরিদর্শন করতে পারবেন।
1475644