পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে: وَلَا تُفْسِدُوا فِي الْأَرْضِ بَعْدَ إِصْلَاحِهَا وَادْعُوهُ خَوْفًا وَطَمَعًا إِنَّ رَحْمَتَ اللَّهِ قَرِيبٌ مِنَ الْمُحْسِنِينَ
পৃথিবীতে সংস্কারের পর অরাজকতা সৃষ্টি কর না; এবং ভয়ে ভয়ে ও আশান্বিত হয়ে তাঁকে ডাক (আল্লাহর কাছে প্রার্থনা কর); নিশ্চয় তাঁর অনুগ্রহ পুণ্যকর্মশীলদের নিকটবর্তী।
প্রার্থনা অবশ্যই কর, তবে তা কেবল মৌখিকভাবে নয়; বরং অন্তর থেকে বিনয়-নম্র হয়ে এবং উচ্চৈঃস্বরে নয়; বরং চুপি চুপি যাতে লোক দেখানো প্রবণতা থেকে রক্ষা পাও। আর এমন প্রার্থনা করা উচিত নয় যা প্রার্থনাকারীর মর্যাদার ঊর্ধ্বে, যেমন নবীদের ন্যায় মর্যাদা বা আকাশে ওড়ার কামনা ইত্যাদি। আসল উদ্দেশ্য হল বান্দা সর্বদা আল্লাহর অনুগ্রহ ও করুণার মুখাপেক্ষী। এখন যদি নিজের প্রয়োজনীয়তার কথা আল্লাহর সামনে প্রকাশ করতে কেউ আপত্তি করে ও হীনতাবোধ করে তবে বুঝতে হবে সে আল্লাহ সম্পর্কে উদাসীন ও তার মধ্যে অমুখাপেক্ষিতার ভাব রয়েছে। এমন মনোভাব দাসত্বেরও পরিপন্থি।
এই পবিত্র রমজান মাসেই রয়েছে লাইলাতুল কদর, এই রমজান মাসকেই বলা হয়েছে
লাইলাতুল মুবারাকা(বরকতময় রাত)। সুতরাং এই মহান মাসে বেশী করে আল্লাহর
ইবাদত বন্দেগী করে ইমাম মাহদীর সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে এবং ইমাম
মাহদীর আবির্ভাবের জন্য দোয়া করতে হবে। সূত্র: শাবিস্তান