
ইরানের বৃহত্তম দ্বীপ কেশম তার অনন্য প্রাকৃতিক আকর্ষণ যেমন- ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট, খোরবাস গুহা, চাহ্কুহ প্রণালী, পারস্য উপসাগরের নীল ডলফিন, স্টার্চ ভ্যালি, ন্যাজ দ্বীপপুঞ্জ এবং নামাকদন গুহা'র জন্য জনপ্রিয় পর্যটনস্থলে পরিণত হয়েছে।
স্টার ভ্যালি (নক্ষত্র উপত্যকা): কেশম দ্বীপের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রাকৃতিক নিদর্শনগুলোর একটি—যেন আকাশ থেকে পতিত শিলাখণ্ডে তৈরি এক অলৌকিক উপত্যকা। লক্ষ লক্ষ বছরের ভূতাত্ত্বিক ইতিহাস এই উপত্যকার প্রতিটি শিলাস্তরে নিঃশব্দে লুকিয়ে আছে।
নক্ষত্র উপত্যকা
ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট (হারা ম্যানগ্রোভ বন): এই অরণ্যের গাছগুলো লবণাক্ত পানিতে জন্মায় এবং জোয়ার-ভাটার ছন্দে নিঃশ্বাস নেয়। এখানে ভূমি ও সমুদ্রের সীমানা যেন মিলেমিশে গেছে, প্রকৃতি এখানে এক ভিন্ন জগত সৃষ্টি করেছে।
রা ম্যানগ্রোভ বন
চাহকুহ ক্যানিয়ন (চাহকুহ গিরিখাত): পাথরে খোদাই করা উঁচু দেয়াল আর তাদের ফাঁক দিয়ে ঢুকে পড়া আলোর রেখা—সব মিলিয়ে এমন এক দৃশ্য তৈরি করে যা একই সঙ্গে মহিমান্বিত ও রহস্যময়।
চাহকুহ গিরিখাত
নামকদান গুহা (লবণগুহা): দ্বীপের অন্তরে লুকিয়ে আছে এক জ্বলজ্বলে রত্ন—বিশ্বের দীর্ঘতম লবণগুহা। স্ফটিকের মতো ঝলমলে লবণস্তম্ভ ও রঙিন দেয়াল শুধু চোখকেই মুগ্ধ করে না, আত্মাকেও শান্ত করে। ইউনেস্কো স্বীকৃত কেশম গ্লোবাল জিওপার্কের অংশ এই গুহা, যার বাতাসে শ্বাস নিলে শ্বাসকষ্টজনিত রোগের উপশম ঘটে।
ন্যাজ আইল্যান্ডস (ন্যাজ দ্বীপপুঞ্জ): দুটি ছোট পাথুরে দ্বীপ নিয়ে গঠিত এই নাজ দ্বীপপুঞ্জে জোয়ার-ভাটার খেলায় ঘটে এক জাদুকরী দৃশ্য। জোয়ারের সময় দ্বীপগুলো বিচ্ছিন্ন থাকে, কিন্তু ভাটার সময় যখন সাগরের জল পিছিয়ে যায়, তখন আপনি হেঁটে পৌঁছে যেতে পারেন সাগরের বুকের ওই দ্বীপে।
ন্যাজ দ্বীপপুঞ্জ
কেশম এমন এক দ্বীপ যা ইন্দ্রিয়ের সবটুকু দিয়ে অনুভব করতে হয়। এর প্রতিটি দৃশ্য ধ্যানের আমন্ত্রণ, প্রতিটি হাওয়া অতীতের গল্প বহন করে আনে, আর প্রতিটি পদক্ষেপ যেন এক নতুন যাত্রা—নির্মল সৌন্দর্যের গভীরে।
যদি আপনি এমন এক গন্তব্য খুঁজে থাকেন যা সাধারণ ভ্রমণের বাইরে যেখানে আবিষ্কার, প্রশান্তি, আর আত্মসন্ধান আছে— তাহলে কেশম দ্বীপ আপনার জন্য অপেক্ষা করছে।#
পার্সটুডে