
আল জাজিরার বরাতে ইকনা জানায়, ডক্টরস ফর হিউম্যান রাইটস–ইসরায়েল সংগঠনের সাম্প্রতিক অনুসন্ধান এই মৃত্যুগুলোর内幕 উন্মোচন করেছে। নিহতদের বেশিরভাগই ছিলেন বেসামরিক নাগরিক, যাদের গ্রেপ্তার করে ইসরায়েলি কারাগার ও আটককেন্দ্রে রাখা হয়েছিল। সংস্থাটি বলছে, এসব মৃত্যু ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর কারাগারগুলোতে বন্দীদের ওপর গোপনে পরিচালিত সিস্টেমেটিক হত্যার আরও একটি প্রমাণ।
বুধবার প্রকাশিত এক বিবৃতিতে ফিলিস্তিনি বন্দী বিষয়ক দপ্তর জানায়, বিচার ছাড়াই ও পরিবারের কাছে কোনো তথ্য না দিয়েই এতো মানুষের মৃত্যু আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের রোম স্ট্যাটিউট অনুযায়ী সরাসরি যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে বিবেচিত।
বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয় যে বন্দীদের ওপর নির্মম নির্যাতন, অনাহারে রাখা, চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত করা ও অমানবিক কারাব্যবস্থা—এসবের সম্পূর্ণ দায় ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর।
দপ্তরটি দাবি করে, প্রকৃত নিহতের সংখ্যা আরও বহুগুণ বেশি হতে পারে; কারণ ইসরায়েল কারাগারগুলোতে গোপনীয়তা নীতি অনুসরণ করে এবং বহু বন্দীর নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার ঘটনা ৭ অক্টোবরের পর থেকে বাড়ছে।
বিবৃতিতে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা, বিশেষ করে আন্তর্জাতিক রেডক্রস কমিটি এবং জাতিসংঘ মানবাধিকার দপ্তরকে অবিলম্বে স্বাধীন আন্তর্জাতিক তদন্ত শুরু করার আহ্বান জানানো হয়। পাশাপাশি, বন্দীদের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের সুযোগ দেওয়া, বেআইনি কার্যক্রম বন্ধ করা এবং দায়ীদের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে বিচারের মুখোমুখি করার দাবিও জানানো হয়।
এছাড়া বন্দীদের মুক্তির দাবিতে আন্তর্জাতিক পরিসরে জনসমর্থন জোরদার করার আহ্বান জানানো হয় এবং নিখোঁজদের ভাগ্য উদ্ঘাটন না হওয়া পর্যন্ত চাপ অব্যাহত রাখার কথা বলা হয়।
বিবৃতির শেষাংশে বলা হয়, বন্দীদের অধিকারের পক্ষে দাঁড়ানো এবং তাদের মামলাগুলোর অনুসরণ করা একটি জাতীয় ও মানবিক দায়িত্ব, যা কোনোভাবেই উপেক্ষা করা যায় না। 4318032#