
ফিলিস্তিনি সংবাদ সংস্থা ‘মা’আ’-এর বরাতে জানা গেছে, এস গ্রুপ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে যে কোম্পানি ইসরায়েলি পণ্যের বিক্রি পুরোপুরি বন্ধ করেছে। রিপোর্টে বলা হয়, এই সিদ্ধান্তটি গত সেপ্টেম্বরে নেওয়া হয়েছিল এবং ইউরোপীয় কমিশনের সাম্প্রতিক প্রস্তাবের সঙ্গে সম্পর্কিত—যেখানে ইউরোপীয় ইউনিয়ন–ইসরায়েল সহযোগিতা চুক্তির বাণিজ্যিক সুবিধা স্থগিত করার কথা বলা হয়েছে।
কোম্পানির কর্মকর্তাদের একজন নিনা আউলোমা জানান, এস গ্রুপ ঘনিষ্ঠভাবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সিদ্ধান্ত এবং মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি আলোচনার অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করছে। প্রয়োজন হলে তারা ভবিষ্যতে তাদের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে পারে।
গত সেপ্টেম্বরে ইউরোপীয় কমিশন ইউরোপীয় কাউন্সিলে একটি প্রস্তাব জমা দেয়, যেখানে ইসরায়েলকে দেওয়া বাণিজ্যিক সুবিধা বাতিল করা, ইসরায়েলের ডানপন্থী মন্ত্রীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ এবং সহিংসতায় জড়িত বসতি স্থাপনকারীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলা হয়।
কমিশন জানিয়েছে, ইইউ–ইসরায়েল সহযোগিতা চুক্তির ২ নম্বর ধারার পর্যালোচনায় দেখা গেছে যে ইসরায়েল সরকারের কার্যক্রম মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের মৌলিক নীতির লঙ্ঘন। এর ফলে ইইউ একতরফাভাবে ওই চুক্তি স্থগিত করার আইনগত অধিকার পায়।
চুক্তি স্থগিত হলে ইসরায়েলি পণ্য ইউরোপে আর আগের মতো শুল্ক–সুবিধা পাবে না এবং অন্য সাধারণ দেশের মতোই পূর্ণাঙ্গ শুল্কের আওতায় পড়বে। ফলে ইসরায়েল থেকে আমদানিকৃত বেশ কিছু পণ্যের—বিশেষ করে কৃষিপণ্য—খরচ প্রায় ২২৭ মিলিয়ন ইউরো পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে।
এই বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে হলে ইইউ-এর সব ২৭ সদস্য রাষ্ট্রের অনুমোদন প্রয়োজন হবে, যা বাস্তবায়িত হলে ইসরায়েলি আমদানির প্রায় ৩৭ শতাংশ প্রভাবিত হবে—মূলত খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ খাত।
উল্লেখ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় বাণিজ্য–অংশীদার; ২০২৪ সালে ইসরায়েলের মোট রপ্তানির ৩২ শতাংশ (১৫.৯ বিলিয়ন ইউরো) ইইউ-তে গেছে। অন্যদিকে, ইসরায়েল ইইউ-এর জন্য মাত্র ৩১তম বাণিজ্য–অংশীদার। 4318128#