বার্তা সংস্থা ইকনা: বিক্ষোভকারীরা সৌদি আরবের নীতির বিরুদ্ধে শ্লোগান দিয়ে সৌদি সরকারকে বলেছে, তারা আইএসআইএলের কাজে সহায়তা করছে।
বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারী এক ব্যক্তি বলেন: সৌদি সরকারের নিকট আমাদের আহ্বান তারা যেন নিরীহ মানুষদের অন্যায় ভাবে হত্যা না করে এবং আদিম পদ্ধতিতে কাউকে হত্যা না করে। আমরা আমাদের সরকারের নিকট সৌদি সাথে সকল প্রকার বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন কারার আহ্বান জানাচ্ছি।
তিনি বলেন: সৌদিরা সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্ক সংশোধিত হওয়ার সময় এখনই; কারণ সৌদি সরকার মানবাধিকার লঙ্ঘন করে, রাজনৈতিক কর্মী ও ব্লগারদের কারারুদ্ধ করেছে। এমনকি তারা ইয়েমেনে নিরীহ মুসলমানদের ওপর বোমা বিস্ফোরণ করে তাদেরকে নির্মম ভাবে হত্যা করছে।
সন্ত্রাসী অপরাধের অভিযোগে সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গত শনিবার (২য় ডিসেম্বর) সেদেশের জনপ্রিয় ও বিশিষ্ট আলেম আয়াতুল্লাহ শেখ নিমর সহ অপর ৪৬ জন ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে। আর এর প্রতিবাদে বিশ্ব জুড়ে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে।
২০১১ সালে কাতিফে ইসলামি গণজাগরণ শুরু হয়। তাতে সমর্থন দেন শেইখ নিমর। এর পরের বছরই ২০১২ সালের ৮ জুলাই শেখ নিমর গ্রেপ্তার হন। তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালায় সৌদি নিরাপত্তা বাহিনী। এ সময় তার পায়ে চার বার গুলি করা হয়। গ্রেপ্তারের পর গুলিবিদ্ধ শেইখ নিমরকে উপযুক্ত চিকিৎসা দেয়া হয় নি। গ্রেপ্তারের পর কাতিফে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়। তাতে কয়েক জন নিহত হয়।
সৌদি আরবের পক্ষ থেকে মানবাধিকার লঙ্ঘন করার ফলে এবং ইয়েমেনে হামলার ফলে কূটনৈতিক সম্পর্ক জটিল হওয়ার দরুন এ ব্যাপারে মার্কিন কর্মকর্তা নীরব রয়েছে।
এদিকে শেখ নিমরের ভাই মুহাম্মাদ আল নিমর ‘ইয়াহু নিউজে’ দেওয়া এক সাক্ষাতকারে তার ভায়ের মৃত্যুদণ্ড রুখতে ব্যর্থ হাওয়ার জন্য আমেরিকার প্রেসিডেন্টের সমালোচনা করেন এবং আক্ষেপ প্রকাশ করে বলেন: এ বিপদ থাকা সত্ত্বেও আমেরিকান সরকার শেখ নিমরকে রক্ষা করার জন্য কোন চেষ্টা করেনি।
ওয়াশিংটনে অবস্থিত সৌদি দূতাবাসের সম্মুখে সৌদি বিরোধী বিক্ষোভ শান্তিপূর্ণ ভাবে পালন হয়েছে এবং এ বিক্ষোভের রিপোর্ট প্রেস টিভিতে প্রকাশ করা হয়েছে।
http://iqna.ir/fa/news/3465196