বার্তা সংস্থা ইকনা: বিশ্বের মধ্যে এধরণে যাদুঘর এটাই প্রথম। প্রকৃতপক্ষে এ যাদুঘরটি শারাকার চারুকলা কলেজের আর্কিটেকচার এবং অভ্যন্তরীণ ডিজাইন বিভাগের ছাত্রী ‘মাহাম আমরুল য়ুম’এর থিসিসের সূত্র ধরে নির্মাণে পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
এ প্রকল্পটি আগ্রহী ব্যক্তিদের পবিত্র কুরআনের সাথে অধিক পরিচয় করানোর উদ্দেশ্যে গ্রহণ করা হয়েছে। এ যাদুঘরে সহজ পদ্ধতি অবলম্বন করে পবিত্র কুরআনে উল্লিখিত প্রাণীদেরকে দর্শনার্থীদের সম্মুখে উপস্থাপন করা হবে।
মাহাম আমরুল য়ুম বলেন: এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করার আগে এ সম্পর্কে সঠিক চিন্তা, আলোচনা, গবেষণা, পর্যালোচনা এবং সমীক্ষা করা হয়েছে।
যাদুঘর ডিজাইনার মাহাম আমরুল য়ুম
তিনি বলেন: জরিপে পরিলক্ষিত হয় যে, বিভিন্ন বয়েসের প্রায় ৭৫ শতাংশ জনগণের, পবিত্র কুরআনে যে সময় গল্পে বিভিন্ন প্রাণীর কথা উল্লেখ রয়েছে এবং এর শিক্ষা ও জ্ঞান অর্জনের প্রয়োজন রয়েছে।
তিনি আরও বলেন: পবিত্র কুরআনে যে সকল প্রাণী কথা উল্লেখ করা হয়েছে যেগুলোর ভাস্কর্য এ যাদুঘরে উপস্থাপন করা হয়েছে। এ প্রাণীগুলো প্রকৃতি সাইজের উপর ভিত্তি করে এ ভাস্কর্যগুলো উপস্থাপন করা হয়েছে। যাতে করে দর্শনার্থীরা সহজেই কুরআনে হেকমত সম্পর্কে জানতে পারে।
মাহাম বলেন: এ যাদুঘর সবচেয়ে উন্নত প্রযুক্তির যন্ত্রপাতি দিয়ে সুসজ্জিত করা হয়েছে। যাতে করে আকর্ষণীয় ও সুন্দর ভাবে দর্শনার্থীদের চাহিদা মেটানো যায়।
মাহাম শেষ প্রান্তে বলেন: এ যাদুঘরের জন্য আমিরাতের শারাকা নামের নতুন শহরকে নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়াও এ শহরে ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণ হওয়ার কথা রয়েছে। এছাড়াও এ শহরে কুরআনের গার্ডেনের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। উক্ত কুরআনের গার্ডেনে পবিত্র কুরআনে যে সকল গাছপালার কথা উল্লেখ হয়েছে সেগুলো রোপণ করা হবে।
2817974