লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মোটরসাইকেল ও একটি প্রাইভেট কারকে লক্ষ্য করে চালানো ওই হামলায় এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। এর আগের দিনও (শনিবার) ইসরায়েলি বাহিনী দক্ষিণ লেবাননের আল-খারদালি এলাকায় এক গাড়িতে হামলা চালায়।
লেবাননের প্রেসিডেন্ট জোসেফ আউন বলেন, ইসরায়েলের এসব হামলা জাতিসংঘের ১৭০১ নং প্রস্তাবের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন এবং আন্তর্জাতিক নীরবতা ইসরায়েলকে আরও আগ্রাসনে উৎসাহিত করছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, এখনই এই হামলার লাগাম টানা উচিত।
এদিকে, লেবাননের পার্লামেন্ট স্পিকার নবীহ বেরি বলেছেন, ইসরায়েলের হামলা শুধু লেবাননের ওপরই নয়, বরং তার সেনাবাহিনী ও জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী (ইউনিফিল)-এর ওপরও আঘাত। তিনি যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক সমাজকে এসব হামলার জন্য দায়ী করেন।
হামাসের সামরিক শাখা ইযজুদ্দিন আল-কাসসাম ব্রিগেড জানিয়েছে, শনিবার এক স্নাইপার উত্তর গাজার আল-যারকা এলাকায় এক ইসরায়েলি সেনাকে টার্গেট করে।
এছাড়া, রেডিও ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানায়, আজ (রবিবার) সকালে গাজার শেইখ রিজওয়ান পাড়ায় আরেক সেনা গুলিবিদ্ধ হয়। আহত সেনাকে হেলিকপ্টারে করে দখলকৃত ভূখণ্ডে পাঠানো হয়।
স্কটল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জন সুইনি এক বিবৃতিতে বলেন, “যুক্তরাজ্যের ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়া স্বাগত জানাই, তবে এই স্বীকৃতি শর্তযুক্ত হওয়া উচিত নয়।”
তিনি আরও বলেন, এটি বহু প্রতীক্ষিত একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। তথাকথিত দ্বিরাষ্ট্র সমাধানই ফিলিস্তিনিদের শান্তি ও নিরাপত্তার জীবন নিশ্চিত করতে পারে। একইসঙ্গে তিনি যুক্তরাজ্যকে আহ্বান জানান, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আরও কঠোর নিষেধাজ্ঞা দিতে এবং সামরিক সহযোগিতা বন্ধ করতে।
সুইনি আগে বলেছিলেন, গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যার মুখে নীরব থাকা কোনো বিকল্প নয়। ইসরায়েলকে অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।
এদিকে, জাতিসংঘের একটি তদন্ত কমিটি সম্প্রতি আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেছে, গাজায় ইসরায়েল ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে গণহত্যা চালিয়েছে।
জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টেফান দ্যুজারিক রবিবার বলেন, “যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া ও কানাডার ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার পদক্ষেপ অন্ধকার সময়ের মধ্যে দ্বিরাষ্ট্র সমাধানের আশা বাঁচিয়ে রেখেছে।”
২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ (৩০ شهریور ১৪۰۴) তারিখে এই তিন দেশ আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয়। বিশ্লেষকদের মতে, এটি পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্কের মধ্যে এক নতুন ফাটলের সূচনা।
জায়নবাদী মিডিয়ার দাবি: নাসরুল্লাহ হত্যাচেষ্টার নতুন বিবরণ
ইসরায়েলি পত্রিকা ইদিয়োথ আহারোনোথ দাবি করেছে, গত সেপ্টেম্বর মাসে বেইরুতের দক্ষিণ দাহিয়ায় হামলার সময় মোসাদ সদস্যরা হিজবুল্লাহর ভূগর্ভস্থ সদর দপ্তরের কাছে বিশেষ ডিভাইস স্থাপন করে। তাদের দাবি, এই ডিভাইসগুলো স্মার্ট বোমাকে গভীর ভূগর্ভস্থ লক্ষ্যবস্তুতে নিখুঁতভাবে আঘাত হানতে সাহায্য করেছে।
ر
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে বিকেল ৬টা ২০ মিনিটে ইসরায়েলের এফ-১৫ ও এফ-১৬ যুদ্ধবিমান প্রায় ৮৩টি এক টন ওজনের বোমা ওই এলাকায় ফেলেছিল।
তাদের দাবি অনুযায়ী, হিজবুল্লাহর মহাসচিব সায়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহ, ইরানি কুদস ফোর্সের এক কমান্ডার এবং হিজবুল্লাহর দক্ষিণ ফ্রন্টের নেতা সেই সময় ওই ভূগর্ভস্থ আশ্রয়কেন্দ্রে বৈঠকের পরিকল্পনা করেছিলেন।
4306292#