ইকনা- যে ডেস্কে ভাষণের নোট লিখতাম, তার প্রান্তে লিপিবদ্ধ ছিল: "প্রতি বছর শঙ্কিত হই— শেষ হয়ে যাবে যে অশ্রুধারা, পথ পাবে না যে হৃদয়, কাঁপবে না, জান্নাত-দোজখের মাঝে নিজেকে নির্বাচিত করবে না— তারই ভয়ে। প্রতি বছর আগামী বর্ষের অশ্রুর জন্য মানত করি।

যে ডেস্কে ভাষণের নোট লিখতাম, তার প্রান্তে লিপিবদ্ধ ছিল: "প্রতি বছর শঙ্কিত হই— শেষ হয়ে যাবে যে অশ্রুধারা, পথ পাবে না যে হৃদয়, কাঁপবে না, জান্নাত-দোজখের মাঝে নিজেকে নির্বাচিত করবে না— তারই ভয়ে। প্রতি বছর আগামী বর্ষের অশ্রুর জন্য মানত করি।
হযরত হুরের নযর।"
মুহাররমের প্রাক্কালে মানুষের সকল প্রস্তুতির মূলে রয়েছে এই মহিমান্বিত সাক্ষাতের দিগন্ত-বিস্তৃত ভীতি। নুহা-মজলিসের উচ্ছ্বাস-উত্তরঙ্গেও নিরন্তর ভাবি:
কীসের তরে কাঁদি আমি?
নিজের জন্যই? শোকের ভারেই?
অভিলাষ-অভাবের খাতিরে?
মিথ্যা আবেগের শূন্যতায়?
বিচ্ছেদ-বিরহ-জীবনের যাতনায়?
অনিশ্চিত ভবিষ্যতের আঁধারে?
মানসিক জটিলতার জালে?
কিন্তু পরক্ষণেই অনুভব করি—
নিজের জন্য, ব্যক্তিগত সংকটে কাঁদা মুখে আনে লজ্জা।
অবশেষে উপলব্ধি করি—
এই ঘটনার সম্মুখে সমস্ত কিছুই ক্ষুদ্র।
প্রকাশন: আতরাফ
পৃষ্ঠা: ৭৯