ইকনা সূত্রে আল-আখবারের বরাতে জানা গেছে, অস্ট্রেলিয়া ও কানাডা ঘোষণা করেছে যে তারা আগামী সেপ্টেম্বরে ফিলিস্তিনকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজি বলেন, তিনি গাজা সংকট নিয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার-এর সঙ্গে আলোচনা করেছেন এবং অস্ট্রেলিয়ার পক্ষ থেকে "দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান"–এর প্রতি জোরালো সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
তিনি আরও বলেন, “স্টারমার জানিয়েছেন যে যুক্তরাজ্য সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে প্রস্তুত, বিশেষ করে গাজার অভুক্ত শিশুদের হৃদয়বিদারক দৃশ্যের কারণে আন্তর্জাতিক ক্ষোভ বৃদ্ধি পেয়েছে।”
অস্ট্রেলিয়ার অর্থমন্ত্রী জিম চালমার্স এবিসি নিউজকে বলেছেন: “এটি কেবল সময়ের ব্যাপার, অস্ট্রেলিয়া ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে— এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। তবে এখনই আমরা নির্দিষ্ট সময়সীমা ঘোষণা করছি না।”
অপরদিকে কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি ঘোষণা করেছেন: "আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে আগামী সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনের সময় ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেব। তবে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে নির্দিষ্ট কিছু শর্ত পূরণের উপর ভিত্তি করে।"
কার্নির উল্লিখিত শর্তগুলো:
• ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক সংস্কারের অঙ্গীকার
• ২০২৬ সালে সাধারণ নির্বাচন আয়োজন
• ভূখণ্ডের নিরস্ত্রীকরণ (ডিমিলিটারাইজেশন)
এর আগে যুক্তরাজ্যও জানিয়েছিল, যদি ইসরায়েল গাজায় যুদ্ধবিরতিসহ অন্যান্য শর্তে সম্মত না হয়, তবে তারা সেপ্টেম্বরে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে।
ট্রাম্পের প্রতিক্রিয়া: বাণিজ্য চুক্তিতে প্রভাব ফেলবে
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্তের কড়া প্রতিক্রিয়া জানান।
তিনি বলেন: “কানাডা ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। এর ফলে কানাডার সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি করা আমাদের জন্য অনেক কঠিন হয়ে পড়বে।”
তিনি নিজের সোশ্যাল মিডিয়া Truth Social-এ লেখেন: “কানাডা সদ্য ঘোষণা করেছে যে তারা ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের সমর্থনে আছে। এই অবস্থান আমাদের জন্য কানাডার সঙ্গে বাণিজ্যিক সমঝোতায় পৌঁছানোকে অত্যন্ত কঠিন করে তুলবে।” 4297384#