ইকনা’র প্রতিবেদন অনুযায়ী আরব নিউজ এজেন্সিকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, প্রতি বছর ২৭ সেপ্টেম্বর (বাংলাদেশ সময় ৫ মেহর) বিশ্ব পর্যটন দিবস পালন করা হয়। এ উপলক্ষে প্রকাশিত তালিকায় মদীনা শীর্ষ ১০০ পর্যটন গন্তব্যের মধ্যে স্থান পেয়েছে। এতে সৌদি আরবের মধ্যে মদীনা প্রথম স্থান, উপসাগরীয় অঞ্চলে পঞ্চম এবং আরব বিশ্বে ষষ্ঠ স্থান অধিকার করেছে।
এই র্যাংকিং প্রকাশ করেছে স্বাধীন সংস্থা ‘ইউরোমনিটর ইন্টারন্যাশনাল’, যারা প্রতিটি দেশের নিজস্ব প্রেক্ষাপট বিবেচনায় তথ্য, বিশ্লেষণ ও মাঠ পর্যায়ের গবেষণার মাধ্যমে প্রতিবেদন তৈরি করে থাকে।
এই স্বীকৃতি মূলত হজযাত্রী ও মদীনার জিয়ারতকারীদের অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ করার প্রচেষ্টার ফল, যেখানে সেবার মানোন্নয়ন, অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধকরণ এবং কৌশলগত উন্নয়নের উপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
ঐতিহাসিক স্থাপনা যেমন মসজিদে নববীর স্থাপত্য জাদুঘর, আস-সাফিয়া মিউজিয়াম ও গার্ডেন, এবং আন্তর্জাতিক সীরাতুন্নবী জাদুঘর থাকার কারণে মদীনা একটি সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ও পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত।
শহরটিতে রয়েছে বহুমুখী প্রকল্প ও বিনোদনকেন্দ্র, যেমন: আল-মহল্লাহ প্রকল্প, আল-মাতলা প্রকল্প, কুবা ডেস্টিনেশন, উত্তর কেন্দ্রীয় প্রকল্প, মদীনা সেন্টার প্রজেক্ট, ওয়াহাত মীলাফ (মরুভূমির সবুজ নীড়), ইন্টারঅ্যাকটিভ ট্যুরিজম এক্সপেরিয়েন্স এবং আল-মুস্তাজিল গার্ডেন।
এছাড়া এখানে পর্যটক ও জিয়ারতকারীদের জন্য রয়েছে অ্যাডভেঞ্চার ল্যান্ড পার্ক, কিং ফাহদ পার্ক, ট্যুরিস্ট বাস ট্যুর, এবং আল-মারবেদ ফার্ম সহ নানাবিধ কার্যক্রম, যা দর্শনার্থীদের অনন্য অভিজ্ঞতা প্রদান করে।
এই বৈচিত্র্য প্রমাণ করে যে মদীনা কেবল একটি পর্যটন গন্তব্য নয়; বরং এটি আধ্যাত্মিকতা, সংস্কৃতি ও অনন্য অভিজ্ঞতার সমন্বিত কেন্দ্র। ফলে এই শহরে ভ্রমণ দর্শনার্থীদের জন্য এক অসাধারণ অভিজ্ঞতায় পরিণত হয়।
জিয়ারতকারীরা ও পর্যটকরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের “রুহুল মাদীনা” প্ল্যাটফর্ম এর মাধ্যমে এ শহরের পর্যটন সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য পেতে পারেন।
উল্লেখ্য, জাতিসংঘের বিশ্ব পর্যটন সংস্থা (UNWTO) ১৯৮০ সাল থেকে প্রতি বছর ২৭ সেপ্টেম্বর বিশ্ব পর্যটন দিবস উদযাপন করে আসছে। এর উদ্দেশ্য হলো পর্যটনের ভূমিকা সম্পর্কে বৈশ্বিক সচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং কীভাবে পর্যটন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মানগুলোর উপর প্রভাব ফেলে তা তুলে ধরা। 4307738#