
ইকনা’র প্রতিবেদনে স্থানীয় পত্রিকা Young Witness–এর বরাতে বলা হয়েছে, ওই দিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত মসজিদ প্রাঙ্গণে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে দর্শনার্থীরা মসজিদের বিভিন্ন অংশ ঘুরে দেখার সুযোগ পাবেন, স্থানীয় মুসলিম সম্প্রদায়ের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলবেন, ঐতিহ্যবাহী ইসলামি খাবারের স্বাদ গ্রহণ করবেন এবং ইসলামের বিষয়ে তাদের প্রশ্নগুলো সরাসরি মসজিদের ইমামের কাছে করতে পারবেন।
অনুষ্ঠানের আয়োজকদের মতে, এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য হলো “সংলাপ ও বন্ধুত্বের দুয়ার খুলে দেওয়া”। ইয়াং মসজিদের ইমাম স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “এই দিনটি আমাদের প্রতিবেশীদের জন্য একটি সুযোগ, যাতে তারা আমাদের কাছ থেকে সরাসরি জানতে পারেন আমরা কারা। আমরা দেখাতে চাই, মসজিদ শুধু ইবাদতের স্থান নয়, বরং এটি বন্ধুত্ব, সহযোগিতা ও সহমর্মিতার একটি ঘর।”
তিনি আরও বলেন, “যখন মানুষ মসজিদে আসে, প্রশ্ন করে ও কথা বলে— তখন অনেক ভুল বোঝাবুঝি স্বাভাবিকভাবেই দূর হয়ে যায়। জাতীয় মসজিদ উন্মুক্ত দিবসের উদ্দেশ্যই আসলে এটিই।”
ইয়াং শহরটি একটি ছোট ও সাংস্কৃতিকভাবে বৈচিত্র্যময় জনপদ। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইয়াং মসজিদ সেখানে নানা সামাজিক কর্মকাণ্ড— যেমন দাতব্য, শিক্ষা ও পারিবারিক অনুষ্ঠান— আয়োজনের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। মসজিদটিতে নারী ও পুরুষের জন্য পৃথক নামাজের স্থান, হুইলচেয়ার প্রবেশের ব্যবস্থা, পার্কিং, অজুখানা ও টয়লেটসহ প্রয়োজনীয় সব সুবিধা রয়েছে।
মসজিদ পরিচালনা কমিটি স্থানীয় সম্প্রদায়ের সহায়তায় নিয়মিতভাবে শিক্ষামূলক কার্যক্রম, যুব-উদ্যোগ, পারিবারিক মিলনমেলা ও বিভিন্ন সামাজিক আয়োজন করে থাকে।
অস্ট্রেলিয়ায় জাতীয় মসজিদ উন্মুক্ত দিবস এবার দ্বাদশ বছরে পদার্পণ করেছে। দেশজুড়ে ৮০টিরও বেশি মসজিদ এ কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছে। “অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইমাম কাউন্সিল”-এর পৃষ্ঠপোষকতায় আয়োজিত এই উদ্যোগের মূল উদ্দেশ্য, আয়োজকদের ভাষায়, “হৃদয় ও মনের মধ্যে সেতুবন্ধন রচনা করা।” 4312458#