IQNA

‘সায়্যেদাহ যায়নাব’ গ্রন্থাগারে সংরক্ষিত করা হল ঐতিহাসিক কুরআন

16:09 - February 10, 2014
সংবাদ: 1373862
আন্তর্জাতিক বিভাগ: কায়রোয় ইমাম হোসাইন (আ.) মসজিদ হতে ‘মুসহাফে ওসমান বিন আফফান’ নামে পরিচিত ঐতিহাসিক কুরআন শরিফটি স্থানান্তর করে সায়্যেদাহ যায়নাব নামক গ্রন্থাগারে সংরক্ষণ করা হয়েছে।

কুরআন বিষয়ক বার্তা সংস্থা ইকনা’র রিপোর্ট: মিশরের ধর্ম মন্ত্রীর সহায়ক ‘শেখ মুহাম্মাদ  আব্দুর রাজ্জাক’ জানিয়েছেন: “মুসহাফে ওসমান বিন আফফান’ নামে পরিচিত ঐতিহাসিক কুরআন শরিফটি বর্তমানে ‘সায়্যেদাহ যায়নাব’ গ্রন্থাগারে সংরক্ষিত করা হয়েছে।
ধর্ম মন্ত্রী সহায়ক আরও বলেন: পূর্বে এই কুরআন শরিফটি কায়রোর আদ্দারাসা নামক অঞ্চলে অবস্থিত ইমাম হোসাইন (আ.) মসজিদে সংরক্ষিত ছিল। কিন্তু এই অতি মূল্যবান কুরআন শরিফটির নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে ‘সায়্যেদাহ যায়নাব’ গ্রন্থাগারে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
এর পূর্বে ইমাম হোসাইন (আ.) মসজিদের কর্তৃপক্ষে সেদেশের ধর্ম মন্ত্রীর নিকট আহ্বান জানিয়েছিল যে, ইমাম হোসাইন (আ.) মসজিদের গ্রন্থাগারটি আগের মত পুনর্নির্মাণ কর হক এবং এই মসজিদ থেকে যে সকল মূল্যবান জিনিষ স্থানান্তরিত করা হয়েছে সেগুলোকে যেন ফিরিয়ে নিয়ে আসা হয়।
এছাড়াও মিশরের আহলে বাইত (সা.) সংস্থা এবং সূফী ইউনিয়নের মহাসচিব ইমাম হোসাইন (আ.) মসজিদটি খুলে দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন এ মসজিদটি আদেও শিয়াদের কার্যক্রমের কেন্দ্র হিসেবে পরিবর্তন হয়নি।
উল্লেখ্য বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.)-এর পবিত্র জামা, তলোয়ার, সুরমাদানি এবং মাথার কয়েকটি চুল সহকারে খলিফা ওসমান বিন আফফানের শাসনামলে হস্তলিখিত পবিত্র কুরআন শরীফ অজ্ঞাত স্থানে স্থানান্তরিত করা হয়েছে এবং এখনও পর্যন্ত মিশরের ধর্ম মন্ত্রী এ সকল মূল্যবান জিনিস কোথায় হস্তান্তর এবং আদেও ফিরিয়ে আনা হবে কি নি, কোন কিছুই জানায়নি।
ইমাম হোসাইন (আ.) মসজিদটি ফাতিমিয়ানদের খেলাফত কাল তথা ৫৫৩ হিজরিতে নির্মাণ করা হয়েছে। রেওয়ায়ত অনুযায়ী এ মসজিদে ইমাম হুসাইন (আ.)-এর পবিত্র মাথা দাফন করা হয়েছে এবং সাধারণ মানুষ এ মসজিদটি জিয়ারত করার জন্য আসেন।
1372445

captcha