কুরআন বিষয়ক বার্তা সংস্থা ইকনা’র রিপোর্ট: চীনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় জিনজিয়াং রাজ্যের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্টি পার্টি মুসলমানদের রোজা রাখার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। তারা সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষক ও পার্টির সদস্যদের প্রতি রোজা না রাখতে বলেছে।
বিভিন্ন বিদ্যালয় ও সরকারি সংস্থার ওয়েবসাইটে এ নিষেধাজ্ঞা আদেশ জারি করা হয়েছে। এছাড়া জাওসিউ প্রদেশে স্থানীয় একটি দলীয় কমিটি সেখানকার বন দফতরে রোজাদারকে দৃঢ়ভাবে প্রতিহত করার অঙ্গীকার করেছে।
প্রদেশের তুরফান শহরের বাণিজ্যিক বিষয়ক ব্যুরোর ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, সরকারি কর্মী ও শিক্ষার্থীরা পানাহার থেকে বিরত থাকা এবং অন্য কোনো ধর্মীয় কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে পারবে না।
এর আগে জিনজিয়াং প্রদেশের স্থানীয় সরকার তাদের কর্মচারীদের রোজা রাখা থেকে বিরত রাখার আহ্বান জানিয়ে বলেছিল, পানাহার থেকে বিরত থাকলে তাদের শারীরিক ক্ষতি হতে পারে।
এ ব্যাপারে দেশটির রাষ্ট্রীয় রেডিও ও টেলিভিশনে বলা হয়েছে, আমরা সবাইকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি যে, তাদের রমজান মাসে পানাহার থেকে বিরত থাকার অনুমোদন দেয়া হবে না।
পশ্চিম জিনজিয়াংয়ের কোরাকাশ কাউন্টির আবহাওয়া ব্যুরো জানিয়েছে, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বর্তমান ও অবসরপ্রাপ্ত সব কর্মীকে রমজান মাসে পানাহার থেকে বিরত না থাকার নির্দেশ দিয়েছে। চীনের কমিউনিস্ট পার্টি ও স্থানীয় সরকার বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ভয়ে নামাজ পড়ার উদ্দেশে অনেকের সমবেত হওয়াকেও নিরুৎসাহিত করেছে। বেইজিংয়ের পাবলিক সিকিউরিটি ব্যুরোর তরফ থেকে এ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে, এ ব্যাপারে জিনজিয়াং প্রদেশের মুসলিম সম্প্রদায়ের রাজনৈতিক দল উইঘুর কংগ্রেসের মুখপাত্র দিরজাত রাজিত এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, চীন যদি উইঘুরদের বিশ্বাসে আঘাত লাগে এমন দমনমূলক পদক্ষেপ নেয়, তাহলে সংঘাত আরও বেড়ে যাবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা চীনের প্রতি উইঘুরদের ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিত করা ও রমজানের ওপর রাজনৈতিক দমন না চাপানোর আহ্বান জানাই।
চীনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আগামী সোমবারে স্থানী কর্তৃপক্ষ বিশেষ অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করেছে। এ অনুষ্ঠানে সকল মেহমানদেরকে খাবার দেওয়া হবে এবং এ থেকেই বোঝা যাবে যে, ঐ অঞ্চলের মুসলমানেরা সরকারি নির্দেশ মান্য করে নাকি রোজা থাকে।