আগস্ট ২০১৩ তিনিই মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ১৫ হাজার বর্গমিটার জায়গাজুড়ে মসজিদ কমপ্লেক্সটির অবস্থান। এখানে সর্বমোট ৬৩ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারে। মসজিদ কমপ্লেক্সে রয়েছে বিশাল ইসলামী সেন্টার।
ইসলামের ইতিহাস-ঐতিহ্য সংরক্ষণের জন্য ১১ হাজার বর্গফুটের চোখ-ধাঁধানো মিউজিয়াম ও আর্ট গ্যালারি, সুপরিসর লাইব্রেরি ও এক হাজার সিট বিশিষ্ট বিশাল হলরুমসহ সাড়ে তিন হাজার গাড়ি পার্কিংয়ের বিশেষ সুবিধা।
মসজিদের বহিরাংশে উসমানি-সেলজুক আমলের ডিজাইনে নির্মিত ১০৭.১ মিটার উচ্চতার দুটি মিনারসহ মোট ছয়টি মিনার আছে। ১০৭.১ মিটার উচ্চতার রয়েছে বিশেষ রহস্য, যা ১৭০১ সালের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।
সেলজুক সুলতান আলুপ আরসালান ১৭০১ সালে এ অঞ্চলে বিজয়ী বেশে আগমন করেন। তা ছাড়া মসজিদের অন্যান্য অংশও বিভিন্ন তাত্ত্বিক সংখ্যায় নির্মাণ করা হয়েছে। মসজিদের প্রধান গম্বুজের উচ্চতা ৭২ ও ব্যস ৩৪ মিটার। গম্বুজটির উচ্চতা ৭২টি জাতিগোষ্ঠীর ঐক্যের আহ্বান করে আর ৩৪ মিটার ব্যস জানান দেয় শহরের গাড়ির নির্ধারিত নাম্বার প্লেটের কথা। একই সঙ্গে মসজিদটির রয়েছে ছোট-বড় ১৬টি গম্বুজ আর তাতে মহান আল্লাহর ১৬টি নামের ক্যালিগ্রাফি ব্যবহার করা হয়েছে, যা উসমানি শাসকদের ১৬টি নিদর্শনকে ধারণ করে।
রাতের চামলিজা তুলনামূলক বেশি মোহনীয় কমনীয় রূপ পরিগ্রহ করে। মসজিদের বারান্দা ও জানালা দিয়ে পুরো ইস্তাম্বুল নগরীর দুপাশ দেখে নেওয়া যায় একনজরে। প্রবহমান সুদৃশ্য বসফরাস প্রণালিকে তখন খুব আপন মনে হয়। ইস্তাম্বুলকে রূপসী মসজিদের নগরী আখ্যায়িত করা যায়; আয়া সোফিয়া মসজিদ, নীল মসজিদ এবং আধুনিক তুরস্ক প্রতিষ্ঠার পর নির্মিত তুরস্কের সর্ববৃহৎ মসজিদ চামলিজা শহরটির রূপ-সৌন্দর্য কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে।