ইকনা সূত্রে আল জাজিরা জানায়, ইতালির খ্রিস্টান যাজকেরা এই ক্যাম্পেইন চালু করেছেন এবং তারা দখলদার ইসরায়েলের নৃশংসতা ও গাজায় চলমান গণহত্যা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন। এ কার্যক্রম ইতিমধ্যে সারা বিশ্বের শত শত খ্রিস্টান ধর্মযাজককে আকৃষ্ট করেছে, যারা গাজায় চলমান যুদ্ধ ও ক্ষুধাকে তীব্রভাবে নিন্দা জানিয়েছেন।
ক্যাম্পেইনের নেতা ফাদার রিনো মার্সকা জানান, যদিও এ উদ্যোগ ইতালিতে শুরু হয়েছিল, তবে ইতোমধ্যে প্রায় এক হাজার খ্রিস্টান যাজক এতে সাড়া দিয়েছেন। তিনি ফিলিস্তিনি পতাকার রঙে তৈরি পোশাক পরে করপুস ক্রিস্টি ধর্মীয় আচার সম্পাদন করেন।
মার্সকা, যিনি ইতালির দক্ষিণাঞ্চল নেপলসের নিকটবর্তী মন্টুরা ডায়োসিসের যাজক, আল জাজিরাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন: এই ক্যাম্পেইন গত ১৬ আগস্ট হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে মাত্র কয়েক ডজন অংশগ্রহণকারী দিয়ে শুরু হয়েছিল, যা এখন প্রায় এক হাজার যাজকে পৌঁছেছে, যাদের অধিকাংশই ইতালীয়।
তিনি আরও জানান, বর্তমানে এই ক্যাম্পেইনে সব মহাদেশ ও ২৮টি দেশের খ্রিস্টান যাজকেরা যুক্ত হয়েছেন।
মার্সকার ভাষায়, “গণহত্যা যখন ঘটছে তখন কেবল শান্তির আহ্বান জানানো মানে হলো অশুভকে আবারও জয়ের সুযোগ দেওয়া।”
তার মতে, ইসরায়েলের এই গণহত্যা আসলে আবারও নাৎসি নেতা আডলফ হিটলারের ধারণাগুলোকে জয়ী হতে দিচ্ছে—এমনকি ইহুদি পণ্ডিতরাও, যারা গণহত্যার বিরোধী, একই কথা বলছেন।
কেন এই ক্যাম্পেইনের নামের মধ্যে “গণহত্যা” শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে—এ প্রসঙ্গে মার্সকা বলেন: “আমরা জিনিসকে তাদের আসল নামে ডাকি। আমাদের কাছে অর্থ, অস্ত্র বা রাজনৈতিক প্রভাব নেই, তবে আমাদের কাছে আছে শব্দ, যা বাস্তবতা বদলে দিতে পারে। এখনই গণহত্যা ঘটছে, গাজা শহরে হামলা চলছে। কিন্তু আমরা বলতে চাই, ঘৃণার পথ থেকে মুক্তির উপায় হলো ঘৃণা বাড়ানো নয়।”
এই ক্যাম্পেইনের লোগোতে রয়েছে গাজার ক্ষুধায় মৃত্যুবরণ করা ফিলিস্তিনি শিশু মোহাম্মদ জাকারিয়ার ছবি। এই চিত্রটি ইতালীয় শিল্পী জিয়ানলুকা কস্তান্তিনি এঁকেছেন। আন্তর্জাতিক বহু গণমাধ্যম এটি প্রকাশ করেছে যুদ্ধ ও দুর্ভিক্ষ বন্ধের দাবিতে। 4306261#