
ইকনা-র প্রতিবেদনে ইসপানিয়া বিল আরাবীর সূত্রে জানা যায়, মুসলমানরা কেবলমাত্র ডানপন্থী চরমপন্থীদের বিদ্বেষের আরেকটি লক্ষ্য নয়, বরং তাদের মূল টার্গেটে পরিণত হয়েছে।
সম্প্রতি প্রকাশিত এক সরকারি প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ৩০ দিনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরকারনিয়ন্ত্রিত পর্যবেক্ষণ সংস্থা (দেখভাল কেন্দ্র) ৪৭ হাজার ৭১৭টি ঘৃণামূলক পোস্ট শনাক্ত করেছে, যার মধ্যে ৯৪ শতাংশই উত্তর আফ্রিকার অভিবাসী (৫৪ শতাংশ) ও মুসলমানদের (৪০ শতাংশ) বিরুদ্ধে। এই হার সেপ্টেম্বর মাস এবং ২০২৫ সালের মোট গড়ের সঙ্গেও সামঞ্জস্যপূর্ণ। এই অনুপাত তাদের জনসংখ্যার তুলনায় অত্যন্ত অসমান। যদিও উত্তর আফ্রিকার সব অধিবাসী মুসলমান নন, তথাপি মরক্কো, আলজেরিয়া, তিউনিসিয়া, লিবিয়া ও মিশরের নাগরিক বা বংশোদ্ভূতদের সাধারণত মুসলমান হিসেবেই ধরা হয়।
বিদ্বেষমূলক ভাষার অন্যান্য লক্ষ্যবস্তু হিসেবে পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রটি আরও জানিয়েছে— ইহুদিরা ৭ শতাংশ, আফ্রিকান বংশোদ্ভূতরা ৬ শতাংশ, এশীয়রা ৫ শতাংশ এবং অভিভাবকবিহীন বিদেশি অপ্রাপ্তবয়স্করা ৩ শতাংশ। ডানপন্থী দল ভক্স এবং অন্যান্য অভিবাসনবিরোধী গোষ্ঠী এদেরকে অবমাননাকরভাবে “অপ্রাপ্তবয়স্ক অভিবাসী” বলে আখ্যায়িত করছে।
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, গত সেপ্টেম্বর মাসে ঘৃণাপ্রচার ও বর্ণবাদবিরোধী পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রটি ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টিকটক, ইউটিউব ও এক্স (টুইটার) প্ল্যাটফর্মে ৬৮,৫৫৬টি বর্ণবাদী, বিদেশবিদ্বেষী, ইসলামবিদ্বেষী ও ইহুদিবিদ্বেষী বার্তা শনাক্ত করেছে। এর মধ্যে ৬০ শতাংশই উত্তর আফ্রিকার অধিবাসীদের বিরুদ্ধে এবং ৩৩ শতাংশ মুসলমানদের বিরুদ্ধে ছিল — যা মিলিয়ে মোট ৯৩ শতাংশ হয়। 4312317#