
আল-জাজিরা সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) আদালত জানিয়েছে—সিডেনর কোম্পানির প্রধান নির্বাহী হোসে আন্তোনিও চিনাগা এবং আরও দুই কর্মকর্তা ইসরায়েলের একটি সামরিক শিল্পপ্রতিষ্ঠানের কাছে ইস্পাত বিক্রির মাধ্যমে মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যায় সহায়তার অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হচ্ছেন।
আদালতের বিবৃতিতে বলা হয়, কোম্পানিটি সরকারের অনুমতি ছাড়াই এবং লেনদেনের কোনো সরকারি নথি ছাড়াই খনিজ পদার্থ বিক্রি করেছে, যদিও তারা জানত যে এসব ইস্পাত অস্ত্র তৈরিতে ব্যবহার করা হবে।
তবে আদালত স্পষ্ট করেছে, এই তদন্ত শুধুমাত্র সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে পরিচালিত হচ্ছে — পুরো কোম্পানির বিরুদ্ধে নয়; বরং এটি ভবিষ্যতে এ ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড প্রতিরোধের অংশ হিসেবে করা হচ্ছে।
তদন্তকারী বিচারক আগামী ১২ নভেম্বর তিন অভিযুক্ত কর্মকর্তাকে আদালতে হাজির হয়ে সাক্ষ্য দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এই মামলাটি ফিলিস্তিনপন্থি এক সংগঠনের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে শুরু হয়েছে।
উল্লেখ্য, ইসরায়েলের গাজা আক্রমণের পর থেকে স্পেন সরকার দেশটির বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নিয়েছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামলার পরপরই স্পেন ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের অস্ত্র ব্যবসা স্থগিত করে।
এই নিষেধাজ্ঞাটি সম্প্রতি আইনে পরিণত হয়েছে, যা স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ “ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে চলমান গণহত্যা বন্ধের প্রচেষ্টা” হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
পেদ্রো সানচেজ সম্প্রতি গাজায় ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর যুদ্ধাপরাধ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে ইরানের ইসলামি সংস্কৃতি ও যোগাযোগ সংস্থার সভাপতি হুজ্জাতুল ইসলাম মোহাম্মদ মাহদী ইমানিপুর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ লিখেছেন:
“যখন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় দেশগুলো তথাকথিত যুদ্ধবিরতির প্রচারণায় ব্যস্ত থেকে ইসরায়েলি গণহত্যা আড়াল করার চেষ্টা করছে, ঠিক তখন স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজের অবস্থান মানবিক ও ঐতিহাসিকভাবে অত্যন্ত মূল্যবান। গাজার গণহত্যা থেকে ইসরায়েল ও আমেরিকার জন্য কোনো পরিত্রাণের পথ নেই।” 4312615