
বার্তা সংস্থা ইকনা: বৃহস্পতিবার সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের (এসডিএফ) এক অনুষ্ঠানে দারিদ্র্য বিমোচনে ক্ষুদ্র ঋণের প্রশংসা করেন অর্থমন্ত্রী মুহিত। তিনি ওই সময় বলেন, ‘একসময় এদেশে ৭০ শতাংশ মানুষ দরিদ্র ছিল। সেখান থেকে এখন ২২ শতাংশে নেমে এসেছে। গ্রামীণ ব্যাংক এ ভূমিকাটি সাফল্যের সঙ্গে পালন করেছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘আমাদের অর্থমন্ত্রী ক্ষুদ্রঋণের প্রশংসা করে বললেন, ক্ষুদ্রঋণের জন্য নাকি দরিদ্রতা
বিমোচন হয়েছে। যারা ক্ষুদ্র ঋণ দেয়, তারা ধনশালী হয়। তারা ব্যবসা করে। তারা চায় না, মানুষ দারিদ্র্য থেকে উঠে আসুক। মানুষ দারিদ্র্য থেকে উঠে আসলে তারা ব্যবসা কী নিয়ে করবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, যদি ক্ষুদ্রঋণের কারণে দরিদ্রতা বিমোচন হতো তাহলে দরিদ্রতা ৬০ ভাগে কেন ছিল? আর এখন কেন ২২ ভাগে নেমেছে? অর্থমন্ত্রীকে বলবো আপনি যদি হিসাব নেন, তাহলে এর কারণ দেখতে পারবেন। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর গৃহীত নানা পদক্ষেপের কারণে দরিদ্রতা ২২ ভাগে নেমে এসেছে। যেখানে অর্থমন্ত্রীও কমর্সূচি নিয়েছেন।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমাদের মা বোনরা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে পরিশ্রম করে। আর লাভ নিয়ে যায় ক্ষুদ্র্রঋণের ব্যবসায়ীরা। যারা ক্ষুদ্রঋণের ব্যবসা করে তারাও চায় না দরিদ্রতা থেকে সাধারণ মানুষ উঠে আসুক। তা করলে তাদের ব্যবসা থাকবে না। দুঃখ লাগে অর্থমন্ত্রী এমন একজনের প্রশংসা করলেন যার কারণে পদ্মা সেতুর কাজই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। আমেরিকা থেকে আমাকে বারবার হুমকি দেওয়া হয়েছে। আমার ছেলেকে বারবার স্টেট ডিপার্টমেন্টে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এখন কানাডার আদালতে প্রমাণিত হয়েছে পদ্মা সেতুতে কোনও দুর্নীতি হয়নি। অর্থমন্ত্রীকে বলি দরিদ্রতা বিমোচন হয়েছে আওয়ামী লীগের গৃহীত পদক্ষেপের কারণে।’
মহিলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আশরাফুননেসা মোশাররফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন সাফিয়া খাতুন, সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন মাহমুদা বেগম কৃক।
mtnews24