গত রোববার বাগদাদে সন্ত্রাসী হামলায় অন্তত ২৫০ ব্যক্তি নিহত হয়। আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ী বলেন, ‘মুসলিম দেশগুলোর রাজনৈতিক মতপার্থক্যগুলোকে গৃহযুদ্ধে পরিণত করার ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। তিনি এ প্রসঙ্গে বলেছেন, মুসলমান ও ইসলামের শত্রুরা ফিলিস্তিন ইস্যুটি ভুলিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে। তারা চায় মুসলিম বিশ্ব নানা ঘরোয়া সংকটের ঝামেলায় ডুবে থাকুক যাতে তারা ফিলিস্তিন প্রসঙ্গটিকেই ভুলে যায় আর এ অবস্থায় ইহুদিবাদী ইসরাইল তার শয়তানি লক্ষ্যগুলো এগিয়ে নেয়ার সুযোগ পাবে।’
আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ী অতীতে নানা সময়ে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, মুসলিম বিশ্বে মহামারীর মত ছড়িয়ে-দেয়া সন্ত্রাসবাদের যারা নাটের গুরু তারাই একদিন এর শিকার হবে। সন্ত্রাসবাদ যারা ছড়িয়ে দিয়েছে তাদের অপরাধকে কখনও ভুলে-যাওয়া হবে না বলে তিনি মন্তব্য করেছেন।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আজ ইরানের রাষ্ট্রীয় কর্মকর্তা, বিদেশী কূটনৈতিক ও সাধারণ জনগণের এক সমাবেশে বলেছেন, মার্কিন ও অন্য কয়েকটি দাম্ভিক শক্তিই মধ্যপ্রাচ্যে অশান্তি আর সন্ত্রাসের প্রধান উৎস।
তিনি এইসব শক্তির পক্ষ থেকে সন্ত্রাসবাদের নিন্দাসূচক বক্তব্যকে কৃত্রিম বলে অভিহিত করেন এবং এ প্রসঙ্গে সিরিয়া ও ইরাকে মার্কিন নেতৃত্বাধীন বিমান-হামলার দিকে ইঙ্গিত করে বলেছেন, এই শক্তিগুলো মুখে যা বলছে, বাস্তবে সন্ত্রাসবাদকে সহায়তা দিয়ে তার বিপরীত আচরণই করছে।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেছেন, তারা সিরিয়ায় রাজনৈতিক এক মতবিরোধকে ভ্রাতৃঘাতি যুদ্ধে পরিণত করে এবং এরপর আর্থিক, গোয়েন্দা ও সামরিক সহায়তা আর তেলের অবৈধ আয়ের মাধ্যমে বিশ্বের নানা অঞ্চল থেকে সিরিয়ায় লোকদের জড় করে তাদের দিয়ে সৃষ্টি করেছে আঞ্চলিক অশান্তি ও দুর্ভোগ। ফিলিস্তিন ইস্যুকে ভুলিয়ে দেয়াই তাদের উদ্দেশ্য বলে তিনি আবারও স্মরণ করিয়ে দেন।
তিনি ফিলিস্তিন ইস্যুকে মুসলিম বিশ্বের
প্রধান ইস্যু হিসেবে অভিহিত করে বলেছেন, বিবেকধারী কোনো মুসলিম ও অমুসলিম
ব্যক্তি কখনও ফিলিস্তিন ইস্যুকে ভুলতে পারেন না। অবরুদ্ধ ও মজলুম
ফিলিস্তিনি জাতির ওপর অন্যায় চাপ আর নির্যাতনের কারণে ইসরাইল অবশ্যই চড়
খাবে বলে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা মন্তব্য করেন।#