কাতার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, হামলার শহীদদের জানাজা নামাজ মঙ্গলবার আসরের পর দোহা’র মোহাম্মদ বিন আবদুলওয়াহাব মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়। পরে মরদেহগুলো মুসাইমির কবরস্থানে দাফন করা হয়।
মঙ্গলবার বিকেলে ইসরাইলি সেনাবাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থা শিন বেত (শাবাক) এক যৌথ বিবৃতিতে স্বীকার করে যে, তারা দোহায় অনুষ্ঠিত হামাসের শীর্ষ বৈঠকে বিমান হামলা চালিয়েছে। বৈঠকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রস্তাবিত গাজা যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল। এ হামলায় হামাসের পাঁচ সদস্য ও একজন কাতারি নিরাপত্তা কর্মকর্তা শহীদ হন।
শহীদদের মরদেহ জাতীয় পতাকায় আচ্ছাদিত ছিল— পাঁচ হামাস সদস্যকে ফিলিস্তিনি পতাকা এবং কাতারি নিরাপত্তাকর্মীকে কাতারি পতাকা দিয়ে ঢেকে রাখা হয়।
আমির তামিম বিন হামাদ আল থানি প্রথম সারিতে দাঁড়িয়ে জানাজা ও দাফনে অংশ নেন। উপস্থিত অনেকে ঐতিহ্যবাহী সাদা আরবি পোশাক পরিধান করেছিলেন, আবার কেউ কেউ সাধারণ ও আনুষ্ঠানিক পোশাকেও যোগ দেন।
দোহায় মোহাম্মদ বিন আবদুলওয়াহাব মসজিদ ঘিরে বেশ কয়েকটি সড়ক সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাতারের বিশেষ বাহিনী ‘লেখওয়া’ মোতায়েন ছিল।
এদিকে, হামাসের তিন শীর্ষ নেতা— ওসামা হামদান, ইজ্জাত রিশক ও হুসাম বাদরান— জানাজায় উপস্থিত হন এবং গণমাধ্যমের নজরে আসেন। 4304543#