সিরিয়ার দক্ষিণপূর্বাঞ্চলীয় আল হাসকা শহরের আল হুল নামক অঞ্চল থেকে যুদ্ধরত অবস্থায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার করার পর সে দায়েশের ব্যবসার ব্যাপারে আশ্চর্যজনক ঘটনা প্রকাশ করেছে। দায়েশের নিজস্ব ফতোয়া অনুযায়ী এ ব্যবসা বৈধ মনে করে তারা! দায়েশের তদন্ত ও ফতোয়া কমিটি ফতোয়া প্রদানের মাধ্যমে দাবী করেছে, যারা দায়েশদের বিরুদ্ধে তাদের জীবন এবং শরীরের অঙ্গ প্রত্যঙ্গের কোন মূল্য নেই এবং কোনো প্রকার উদ্বেগ ছাড়াই তাদের -বিশেষ করে বন্দিদের- শরীরের অঙ্গ শরীর থেকে পৃথক করলে কোন সমস্যা নেই। এমনকি অঙ্গ পৃথক করার সময় যদি তারা মৃত্যু বরণ করে তাহলেও কোন সমস্যা নেই।
ওমর আল জাযা বলেছে: দায়েশের মানব অঙ্গ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার রয়েছে। আল শাদায়েদ শহরের সর্ববৃহৎ হাসপাতালে মিশরিয় ডাক্তার সহকারে বিদেশী ডাক্তারও দায়েশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। অধিকাংশ সময় অর্থ উপার্জনের জন্য বন্দিদের শরীরের অঙ্গ বিক্রি করে। এছাড়াও রাক্কা শহরেও দাশের হাসপাতাল রয়েছে।
বন্দিদের পৃথক করা অঙ্গ তুরস্কের অধিকাংশ হাসপাতালে বিক্রয় করা হয়। কার তুরস্কের হাসপাতাল গুলো অনেক দুরে এবং এ নিয়ে তেমন কেউ মাথা ঘামাবে না।
ওমর আল জাযা আরও বলেছে: দায়েশের যোদ্ধাদের সংকটের কারণে কিশোরদের বিশেষ করে ১৩ বছরের নিচে যাদের বয়স, তাদেরকে ব্যবহার করা হচ্ছে। তাদেরকে যুদ্ধের জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। মূলত কিশোরদেরকে যুদ্ধের ডাল হিসেবে ব্যবহার করা হয়। তারা ছোট হওয়ার কারণে তাদেরকে যা বলা হয় সহজে মেনে নেই। সত্যিকার অর্থে দায়েশ নিজেদের রক্ষার জন্য কিশোরদের ব্যবহার করে।