
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, আজ (সোমবার) সকালে প্রচণ্ড যানজটের সময় আল-কুদস শহরের নিকটবর্তী রামোট জংশনের প্রবেশপথে দু’জন হামলকারী একটি বাসে উঠে গুলিবর্ষণ করে। হামলাকারীরা ৬২ নম্বর লাইনের একটি বাসে প্রবেশ করে যাত্রীদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। পুলিশের গুলিতে তারা নিহত হওয়া পর্যন্ত বাসের বাইরেও গুলি চালাতে থাকে।
ইসরায়েলের চিকিৎসা-সেবাদানকারী সংস্থা মাগেন ডেভিড আদম (এমডিএ) প্রথমে ১৫ জন আহত হওয়ার কথা জানিয়েছিল। সংস্থাটি পরে জানায়, আহতদের কয়েকজনের অবস্থা সংকটাপন্ন এবং তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এমডিএ'র বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “স্বাস্থ্যকর্মীরা গুরুতর আহত কয়েকজনকে হাসপাতালে পাঠাচ্ছে, যাদের গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া গেছে। এছাড়া, ঘটনাস্থলে আরও বেশ কয়েকজন বিভিন্ন মাত্রার আঘাত নিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।”
ঘটনার কিছু পরেই এমডিএ ঘোষণা করে যে, চারজন ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন এবং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। তবে হামলাকারী দুইজন, যারা পশ্চিম তীর থেকেই এসেছিলেন বলে জানা গেছে, পরে পুলিশের গুলিতে তারা নিহত হন।
ঘটনার পর ইসরায়েলি বাহিনী অধিকৃত অঞ্চল থেকে আল-কুদস এলাকায় প্রবেশের সব ক্রসিং বন্ধ করে দেয়। এছাড়া, ঘটনাস্থল ঘিরে তল্লাশি চালানো হয় একটি সন্দেহজনক বস্তু পাওয়া গেছে বলে জানা গেছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী রেডিওতে সম্প্রচারিত প্রতিবেদনে জানানো হয়, হামলাকারীরা রামাল্লাহ এলাকা থেকে এসেছিল এবং রামত জংশনে প্রবেশ করেছিল—এ তথ্য দিয়েছে অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থা শিন বেত।
পরে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ও পুলিশ যৌথভাবে হামলাকারীদের সনাক্ত ও বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহে কাজ শুরু করে।
এটি ২০২৩ সালের গিভাত শাউল গুলি হামলার পর দখলকৃত অঞ্চলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুতর গুলি হামলা, যখন বন্দুকধারীরা গিভাত শাউলের একটি বাস স্টপে গুলি চালিয়ে ৩ জনকে হত্যা করেছিল।# পার্সটুডে