বার্তা সংস্থা ইকনা: শনিবার রাতে ইরানের শীর্ষস্থানীয় কবিদের পাশাপাশি ভারত, আফগানিস্তান ও তুরস্কের কয়েকজন আমন্ত্রিত ফার্সিভাষী কবি আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ আহ্বান জানান।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেন, "মহানবী (সা.) নিজের সাহাবীদের মধ্যে একজন কবিকে মুশরিকদের নিয়ে ব্যঙ্গাত্মক কবিতা লেখার আহ্বান জানিয়েছিলেন। বর্তমান যুগেও সেই একই ধরনের ব্যঙ্গাত্মক কবিতা লেখার সুযোগ রয়েছে।”
তিনি বলেন, "গোত্রীয় অজ্ঞতার সঙ্গে আধুনিক অজ্ঞতার সমন্বয়ে কীভাবে তরবারির নর্তনকুর্দন হয় কিংবা সৌদি আরবের মতো মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী দেশ কীভাবে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের সদস্যপদ ধরে রাখে তা নিয়ে ব্যঙ্গাত্মক কবিতা লেখা যেতে পারে।”
ইরাক ও সিরিয়ার চলমান ঘটনাবলী নিয়েও শত শত কিংবা হাজার হাজার কবিতা লেখার সুযোগ রয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী বলেন, "আমেরিকা ইরাকে কি উদ্দেশ্যে এসেছিল এবং দেশটি কীভাবে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ল সে সম্পর্কে বেশিরভাগ মানুষেরই কোনো ধারণা নেই। কিন্তু সাদ্দামের ইরাক কীভাবে শহীদ হাকিমের ইরাকে পরিণত হলো তা মানুষের সামনে ব্যাখ্যাসহ উপস্থাপন জরুরি হয়ে পড়েছে।”
ইরানে ইসলামি বিপ্লবের পর অশ্লীলতা পরিহার করে ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক বিষয়ে সাহিত্য রচনার প্রবণতা বেড়ে যাওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন সর্বোচ্চ নেতা। এর আগে তিনি ইরানসহ আমন্ত্রিত বিদেশি কবিদের রচিত কবিতা মনযোগ দিয়ে শোনেন।
iqna