IQNA

ইরাকে মার্কিনীদের উপস্থিতি সম্পূর্ণ বেআইনি

20:22 - January 08, 2022
সংবাদ: 3471250
তেহরান (ইকনা): নির্ধারিত সময়ের পরও ইরাকে মার্কিন সেনাদের উপস্থিতি বর্তমানে সেদেশে সবচেয়ে বড় আলোচ্য বিষয়ে পরিণত হয়েছে। গত ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ইরাক থেকে সব মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করে নেয়ার কথা ছিল।
সামরিক পোশাক পাল্টে প্রায় আড়াই  হাজার মার্কিন সেনা উপদেষ্টার লেবাস পরে এখনো ইরাকে অবস্থান করছে। ইরাকের সরকার, পার্লামেন্ট ও জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়ে ভিন্ন কৌশলে তারা ইরাকে থেকে গেছে এবং এর কোনো যৌক্তিক ব্যাখ্যা নেই। ইরাকের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন সেদেশে এতো বেশি সংখ্যক মার্কিনীর উপস্থিতিকে দখলদারিত্ব বলে মনে করে। গতকাল ইরাকের সাইদ আশ শোহাদা ব্রিগেডের মহাসচিব আবু অলা উলালাই বলেছেন, 'মার্কিন দখলদার সেনারা ইরাকে অবস্থানের জন্য প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছে। যেহেতু ইরাকে তাদের অবস্থান এখন বেআইনি সে কারণে মার্কিন জঙ্গিবিমানগুলো ইরাকের আকাশে উড্ডয়ন করছে এবং মার্কিনীরা ইরাককে তাদের নিজস্ব একটি গ্রামের দৃষ্টিতে দেখছে'। পার্সটুডে
 
ইরাকের সব সংগঠন ও জনগণের দৃষ্টিতে সেদেশে মার্কিনীদের উপস্থিতি সম্পূর্ণ বেআইনি। মার্কিন সেনাসহ সব বিদেশী সেনা বহিষ্কারের বিষয়ে ইরাকের পার্লামেন্ট সর্বসম্মতিক্রমে একটি আইন পাশ হয়েছিল এবং ইরাক ও মার্কিন সরকারের মধ্যে চুক্তি অনুযায়ী গেল বছর ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সব বিদেশি সেনা ইরাক থেকে প্রত্যাহার করে নেয়ার কথা ছিল। কিন্তু এসব চুক্তি ও আইনের তোয়াক্কা না করে ভিন্ন পরিচয়ে বিশাল সংখ্যক মার্কিন সেনা এখনো ইরাকে উপস্থিত রয়েছে। এভাবে সেনা উপস্থিতি ও বিমান উড্ডয়নের মাধ্যমে মার্কিনীরা ইরাকের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করে যাচ্ছে এবং ইরাকের সরকার ও জনগণকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাচ্ছে।
 
এমনকি যদি মার্কিন সরকার দাবি করে থাকে যে ইরাকের বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি নিয়েই তাদের সেনারা ইরাকে অবস্থান করছে তাহলে বলা যায় দেশটির সংবিধানের ৮০ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বাইরের কোনো দেশের সাথে ইরাকের প্রধানমন্ত্রী যেকোনো চুক্তি, সমঝোতা বা কোনো সিদ্ধান্ত নিতে যান তাহলে পার্লামেন্টের দুই তৃতীয়াংশ সদস্যের সমর্থনের প্রয়োজন হবে।
 
অন্যদিকে এ প্রশ্নও উঠবে এমন কোন দেশ আছে কি যারা উপদেষ্টা হিসেবে এতো বেশি সংখ্যক বিদেশি সেনা উপস্থিতি মেনে নেবে? সত্যিই যদি ইরাকের বিদেশি সামরিক উপদেষ্টার প্রয়োজন হয় তাহলে কর্মকর্তারা আনুষ্ঠানিকভাবে ওই দেশটির কাছে অনুরোধ জানাবে এবং দায়িত্ব ও কর্তব্যের বিষয়টিও নির্ধারিত থাকবে। এ অবস্থায় ইরাকে মার্কিন সেনারা আসলে কি করছে তাদের কাজই বা কি তাও ইরাকের সরকার ও প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্পষ্ট নয়। 
 
বাস্তবতা হচ্ছে, ইরাকে সেনা উপস্থিতি বজায় রাখার জন্য মার্কিন কর্মকর্তারা নানান অজুহাত খুঁজছেন। এ ক্ষেত্রে তারা দায়েশ বা আইএস জঙ্গিদের দমনের কথা বলছেন। অথচ এসব জঙ্গি আমেরিকারই সৃষ্ট সন্ত্রাসী।  iqna
 
captcha