Egypt.com ওয়েব সাইটের উদ্ধৃতি দিয়ে বার্তা সংস্থা ইকনা : ৩ বছর বয়স্ক হাফেজ আব্দুর রাহমান তারতিল পদ্ধতিতে পূর্ণ কুরআন তেলাওয়াত করতে পারে। তার কৃতিত্বে অভিভূত আরব ও ইসলামি বিশ্বের কোটি কোটি মুসলমান।
আব্দুর রাহমান দুই বছর বয়সে (দেরীতে) কথা বলতে শেখে। প্রকৃত অর্থে কথা বলা শুরু করার সাথে সাথে তার হেফজের কাজও শুরু হয় এবং মাত্র এক বছরের মধ্যে সে পূর্ণ কুরআন মুখস্থ করে ফেলে।
MBC স্যাটালাইট চ্যানেল আলজেরীয় এ শিশুর উপর একটি প্রতিবেদন তৈরী করেছে। পবিত্র কুরআনের বড় বড় সূরাগুলোকে শ্রুতিমধুর সূরের মাধ্যমে তারতিল আকারে এবং কোন ভুল ছাড়াই পড়তে পারে আব্দুর রহমান।
আব্দুর রাহমান দেরীতে কথা বলতে শিখলেও যখন সে কথা বলা শুরু করে তখন সে কোনরূপ সমস্যা ছাড়াই শিশুসুলভ ভাষায় তোতলাতে তোতলাতে সূরা কাহাফ তেলাওয়াত করে সবাইকে চমকে দেয়। এমবিসি এ কথা উল্লেখ করে একে আশ্চার্যজনক বলে উল্লেখ করেছে।
প্রতিবেদনের উল্লেখ করা হয়েছে যে, আব্দুর রাহমান পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতের আদব সম্পর্কেও জ্ঞাত এবং তেলাওয়াতের পূর্বে শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে মহান আল্লাহর নিকট আশ্রয় গ্রহণ করে। সে কুরআন তেলাওয়াতের সময় তাজবিদের আইন মেনে চলে এবং মহানবী (স.) এর প্রতি দরুদ পাঠাতে সে ভোলে না। আর প্রতিটি তেলাওয়াত শেষে পবিত্র কুরআন খতম করার দোয়াটি পূর্ণরূপে পাঠ করে থাকে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আব্দুর রাহমান গর্ভে থাকা অবস্থায় তার মা প্রতিদিন সূরা কাহাফ তেলাওয়াত করতেন এবং এ সূরা তেলাওয়াতের মাধ্যমে তিনি প্রশান্তি অনুভব করতেন। অতএব, এটা অসম্ভব নয় যে, তার নয়নের মনি ভূমিষ্ট হওয়ার পূর্বে মায়ের ঐ তেলাওয়াত থেকে প্রভাবিত হয়েছে।
সবচেয়ে মজার বিষয় হল কোন মাদ্রাসা বা মসজিদে শিক্ষা গ্রহণ ছাড়াই হাফেজ হয়েছে আব্দুর রাহমান। সর্বদা বিশেষ দোয়া সাথে রাখে এবং কখনই তা নিজের থেকে পৃথক করে না। ঘুমানোর পূর্বে বিশেষ দোয়া পড়েই ঘুমাতে যায় আলজেরীয় এ শিশু।#
1384655