IQNA

ইরানী শিক্ষকগণকে কুরআন তেলাওয়াত ও হেফজের প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য সেনেগালে ভ্রমণের আহ্বান

23:32 - June 04, 2014
সংবাদ: 1414390
আন্তর্জাতিক বিভাগ: ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানে অনুষ্ঠিত ৩১তম আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী সেনেগালের প্রতিনিধি, ইরানী বিশিষ্ট শিক্ষকগণকে কুরআন তেলাওয়াত ও হেফজের প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য সেনেগালে ভ্রমণের আহ্বান জানিয়েছেন।

কুরআন বিষয়ক বার্তা সংস্থা ইকনা’র রিপোর্ট: ইরানে অনুষ্ঠিত ৩১তম আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী সেনেগালের প্রতিনিধি ‘মাদুন সিসে’ বার্তা সংস্থা ইকনা’কে জানিয়েছেন: সেনেগালে, ইরানী ক্বারিগণের বিশেষ পরিচিতি রয়েছে। কুরআন শিক্ষার জন্য সেনেগালের অধিকাংশ নবযুবক এবং যুবকগণ নিজেদের দৈনিক কর্মসূচীতে ইরানী ক্বারীগন, বিশেষ করে ‘জাওয়াদ ফুরুগী’র তেলাওয়াত শুনে থাকে। সুতরাং সেনেগালে কুরআন তেলাওয়াত এবং হেফজের উন্নতির জন্য ইরানী শিক্ষকদের উপস্থিতের প্রয়োজন রয়েছে।
তিনি আরও জানান: আমি ওস্তাদ (অধ্যাপক) জাওয়াদ ফুরুগীকে চিনি এবং তার কণ্ঠের কোরআন তিলাওয়াত আমি খুবই পছন্দ করি।
সেনেগালের প্রতিনিধি তাদের দেশে পবিত্র কোরআন শিক্ষার পদ্ধতি সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে বলেন: আমার বয়স ৩০ বছর এবং ২২ বছর বয়স থেকে আমি ক্বারি হিসাবে পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত করা শুরু করি। আমাদের দেশে বহু কোরআন শিক্ষার প্রতিষ্ঠান ও কেন্দ্র রয়েছে, আগ্রহীরা সেখানে যেয়ে কোরআন শিক্ষা গ্রহণ করেন।
সেনেগালের ক্বারি মাদুন সিসে বলেন: পবিত্র কোরআন আমার জীবনে অনেক প্রভাব ফেলেছে এবং আমি যখন কোরআন থেকে দূরে ছিলাম তখন আমি যেন অন্ধকারের মধ্যে নিমজ্জিত ছিলাম। পবিত্র কোরআন আমার জীবনকে আলোকিত করেছে। আমি এখন কোরআন শিখেছি এবং কোরআন পড়ে অনেক তৃপ্তি পাই এবং কোরআন পড়তে অনেক ভাল লাগে। কোরআনের প্রতি আমার এই আকর্ষণের কারণেই আজ আমি ইরানের আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পেরেছি।
তিনি বলেন: ইরানের আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতার মান খুবই উন্নত। আমি মালয়েশিয়ার কোরআন প্রতিযোগীটায়ও অংশগ্রহণ করেছি কিন্তু ইরানের প্রতিযোগিতার মান ও শৃঙ্খলা অনেক বেশী। যদিও মালয়েশিয়ায় ইরানেরও বহু আগে থেকে কোরআন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে কিন্তু তারপরও ইরানের প্রতিযোগিতার মান অনেক বেশী ও ভাল।
সেনেগালের ক্বারি মাদুন সিসে ইরান সম্পর্কে তার ধারণা সম্পর্কে বলেন: আমি এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ইরানের সাথে পরিচিত হয়েছি। ইরান আমার অনেক ভাল লেগেছে। কারণ ইরানের জনগণ ইসলাম ও কোরআনকে খুবই ভালবাসে ও তা মেনে চলে।
তিনি বলেন: আমি ইরানের আন্তর্জাতিক ক্বারি জনাব জাওয়াদ ফুরুগীকে চিনি এবং তার কোরআন তিলাওয়াত আমি অনেক পছন্দ করি। আমি এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে ইরানের বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করেছি এবং ইমাম খোমিনীর(রহ.) বাড়ি দেখে আশ্চর্য হয়েছি যে তিনি কত বেশী সাদাসিধে জীবন-যাপন করতেন।
সেনেগালের প্রতিনিধি মাদুন সিসে সর্বশেষে জানান: ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানে এই বিশাল এবং চমৎকার কুরআন প্রতিযোগিতার অনুষ্ঠানের জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং সেনেগালের কুরআন তেলাওয়াতক্বারী এবং হাফেজদের সংখ্যা বৃদ্ধির প্রত্যাশা করেন। যাতেকরে সেদেও আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতার অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয় এবং বিশ্বের বিভিন্ন মানুষ সেদেশের সংস্কৃতি ও সাহিত্যের সঙ্গে পরিচিত হয়।
1413416

captcha